কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হচ্ছে তুরস্ক-ইসরায়েলের

Looks like you've blocked notifications!
এ বছরের জুনে তুরস্ক সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভসগ্লুর (ডানে) সঙ্গে ইসরায়েলের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ। ছবি : রয়টার্স

কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে যাচ্ছে তুরস্ক ও ইসরায়েল। দুই দেশই তাদের রাষ্ট্রদূতদের একে অপরের দেশে কর্মস্থলে পাঠাতে সম্মত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এমনটি জানায়।

গত মার্চে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ তুরস্ক সফর করেন। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশ সফর করেন। এমন নানাবিধ উদ্যোগ ও দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হতে যাচ্ছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আজ বুধবার ফোনালাপের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হবে এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনও দৃঢ় হবে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও জোর পাবে।’

অন্যদিকে, আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগ সম্পর্ক সাভাবিক করার প্রথম একটি পদক্ষেপ। ইসরায়েলের দিক থেকে ইতিবাচক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে তুরস্কও ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

‘তবে এর মানে এই নয় যে, তুরস্ক ফিলিস্তিন ইস্যু ছেড়ে দেবে’, বলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৮ সালে জেরুসালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার প্রতিবাদে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ শুরু করলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে তুরস্ক তেল আবিব থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়। জবাবে ইসরায়েলও আঙ্কারা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে।