কৃষ্ণাঙ্গের ওপর পুলিশি নির্যাতনে ক্ষুব্ধ বাইডেন, নিহতের বাবা-মাকে সান্ত্বনা

Looks like you've blocked notifications!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘২৯ বছর বয়সী টায়ার নিকোলস নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের ওপর পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মম নির্যাতনের ভিডিও দেখে আমি ক্ষুব্ধ ও গভীরভাবে ব্যথিত। নিকোলস নিহতের ঘটনায় তাঁর পরিবার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি রাখে।’ খবর রয়টার্সের। 

এদিকে, এএফপির বরাতে বাসস জানিয়েছে, বাইডেন নিহতের মা ও সৎ বাবার সঙ্গে কথা বলে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টায়ার নিকোলস নামে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরের হৃদয়বিদারক এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অনেকের মতো আমিও মারধরের ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখে ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে বেদনার্ত, যে মারধরে টায়ার নিকোলসের মৃত্যু হয়েছে। নিকোলসের পরিবার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি রাখে।’ 

এএফপির বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার টায়ার নিকোলসের মা ও সৎ বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় ধরে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বাইডেন তাঁদের সান্ত্বনা দেন।

বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সহিংস বিক্ষোভের শঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি, কারণ নিকোলসের মা সহিংস না হয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত জোরাল একটি আবেদন করেছেন।’

বাইডেন বলেন, ‘নিহতের মা স্পষ্টতই প্রচণ্ড বেদনাকাতর। তাই তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’ তিনি সান্ত্বনার সুরে বলেন, ‘এমন সময় আসবে, যখন তাঁর স্মৃতি অশ্রুর আগে হাসি বয়ে আনবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘ঘটনাটি যেভাবে ঘটানো হয়েছে, তাতে আমেরিকার ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলবে।’

শুক্রবার ওই ঘটনার ভয়ঙ্কর ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর দেশটিতে সম্ভাব্য হিংসাত্মক বিক্ষোভের আশঙ্কা দেখা দেয়। ফুটেজে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখা যায়, তারা নিকোলসকে নির্মমভাবে মারধর করছেন। যদিও ওই পাঁচ কমকর্তার সবাই কৃষ্ণাঙ্গই ছিলেন।

প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বাইডেনের শান্ত হওয়ার আবেদন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে ঘটনাটি ব্রিফ করা হয়, তবে প্রেসিডেন্ট বা হোয়াইট হাউসের অন্য কেউ ভিডিওটি দেখেননি।’