কোভিড সাড়া কার্যক্রম জোরদারে চীনের প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বান

Looks like you've blocked notifications!
চীনে লকডাউন ও কোয়ারেন্টিন নীতিমালা প্রয়োগ বন্ধ হলেও কোভিড সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ছবি সংগৃহীত

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনকে অবশ্যই কোভিড সংক্রান্ত আসল তথ্য বিনিময় করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

দেশটিতে গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয় তবে সম্প্রতি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু দেশ চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা দেশটিতে হাসপাতালে ভর্তি, নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও মৃত্যুর বিষয়ে আরও তথ্য চান। তারা কোভিড টিকাদান কার্যক্রমের বিষয়েও আরও তথ্য পেতে চান।

এদিকে নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান এবং তাইওয়ান চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে।

চীন থেকে ইংল্যান্ডে আসা সব যাত্রীকে ফ্লাইটে ওঠার আগেই কোভিড নেগেটিভ পরীক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এক বার্তায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারও চীনের মহামারি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক পরিসংখ্যান চায়…এছাড়া টিকাদান কার্যক্রম, টিকা প্রদানের সাম্প্রতিক তথ্য উপাত্তসহ ষাটোর্ধ্ব ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন এমন মানুষের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত চায়।’

সংস্থাটি চীন ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের ঝুঁকি বিষয়ে মূল্যায়ন ও তা থেকে রক্ষায় কার্যকর সাড়া দিতে পর্যবেক্ষণ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপসহ সময়মতো তথ্য উপাত্ত প্রকাশের বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি পরামর্শক দল মঙ্গলবার কোভিড-১৯ বিষয়ে সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে একটি বৈঠক আহ্বান করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে এ ব্যাপারে ঝুঁকি পূর্বানুমান এবং কার্যকর সাড়া বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত পরিবেশনে চীনা বিজ্ঞানীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

কোভিড থেকে রক্ষায় সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে নভেম্বরের প্রতিবাদের মুখে অনেক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে চীন থেকে। তার আগে চীন তাদের শূন্য কোভিড নীতির কারণে বিশ্বে কোভিড বিরোধী সরকার হিসেবে অগ্রগণ্য ছিল।

এই নীতির আওতায় ছিল কোথাও কোভিড রোগী শনাক্ত হলে কঠোর লকডাউন আরোপ, সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোভিডের গণপরীক্ষা, বাড়িতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা ও সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিন সুবিধা।

তবে এখন লকডাউন বাতিল করা হয়েছে, কোয়ারেন্টিন নীতিমালা হয়েছে বিলুপ্ত। চীনের জনগণ এখন বিশ্বের যে কোনো দেশ ভ্রমণের জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞার কবলে নেই।

সম্প্রতি চীনের সরকার দেশে প্রতিদিন ৫ হাজার কোভিড রোগী শনাক্তের তথ্য দেয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন প্রতিদিনে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখের কাছাকাছি। চীনের কর্মকর্তারা ডিসেম্বরে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মাত্র ১৩ জনের মৃত্যুর খবর দিলেও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা এয়ারফিনিটি জানিয়েছে প্রতিদিন দেশটিতে এই রোগে ৯ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।