কয়লার উৎপাদন আরও ৩০০ মিলিয়ন টন বাড়াবে চীন

Looks like you've blocked notifications!
চীনের প্রশাসনিক প্রধান লি কেকিয়াং। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রস্তুতি নিলেও কয়লার উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। চীনের প্রশাসনিক প্রধান লি কেকিয়াং জানিয়েছেন, এ বছর কয়লা উৎপাদন ৩০০ মিলিয়ন টন বাড়াবে দেশটি। এ ছাড়া চীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংস্কার ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

চীনের স্টেট কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন লি কেকিয়াং।

জ্বালানি শক্তিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে লি কেকিয়াং বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই আগাম পরিকল্পনা করে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং জ্বালানি শক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বনির্ভর হতে হবে।’

লি আরও জানিয়েছেন, চীন চলতি বছরই কয়লা উৎপাদন ৩০০ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি করবে। সেইসঙ্গে নতুন জ্বালানি শক্তি প্রকল্পও চালু করবে। এ সময় মানসম্পন্ন কয়লার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সারা দেশের সরকারি দপ্তরগুলোকে এ বিষয়ে পূর্ণ সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টগুলোকে সংস্কার করার পরিকল্পনা করছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। সেইসঙ্গে তারা চলতি বছর ২২০ মিলিয়ন কিলোওয়াট কয়লাচালিত শক্তি উৎপাদনেরও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী লি’র দেওয়া বিবৃতি কার্বন নিঃসরণ কমাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

স্পুটনিক নিউজ জানিয়েছে, কয়লার ঘাটতি এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে কিছুদিন আগে চীনের কয়েকটি প্রদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধার সম্মুখীন হয়েছিল।

এদিকে, কয়লার উৎপাদন বাড়াতে চীনের এ উদ্যোগ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন, কয়লার ব্যবহার কমানো ও গ্রিন ইকোনমি বাড়ানো দেশটির আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সাংঘর্ষিক।

২০২১ সালের এপ্রিলে চীনের প্রেসিডেন্ট ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে দেশটির পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আরও জানিয়েছিলেন, চীন তার ২০২১-২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময় কয়লা ব্যবহারের বৃদ্ধিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ২০২৫ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময় ধীরে ধীরে কয়লার ব্যবহার হ্রাস করবে।