জাতিসংঘের প্রতিবেদন

‘গত বছর পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া’

Looks like you've blocked notifications!
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তর কোরিয়া ২০২০ সালে পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। কেবল তা-ই নয়, দেশটি এই কার্যক্রম গত বছরজুড়ে আরো জোরদার করেছে বলে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য দেশ থেকে উপকরণ ও প্রযুক্তি নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে নিজেরা ফিসাইল মেটেরিয়াল উৎপাদন করেছে, পরমাণু কার্যক্রম চালু রেখেছে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাঠামোর উন্নয়ন করেছে।’

পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ প্রকল্পের কারণে ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সদস্য দেশের ধারণা, ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়া-সংশ্লিষ্ট হ্যাকাররা ওই প্রকল্পের ব্যয় মেটাতে বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হানা দিয়েছে।

পরমাণু কর্মসূচিতে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সংযোগ রয়েছে বলেও ধারণা করেছে জাতিসংঘের ওই সদস্য দেশটি।

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি থামাতে দেশটির নেতা কিম জং উন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে তিনবার বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু কোনো ফল আসেনি। উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিল, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া।

গত বছর সামরিক মহড়াগুলোতে উত্তর কোরিয়া নতুন স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাবমেরিনচালিত ও আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতির প্রদর্শন করেছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আকার বিবেচনা করে জাতিসংঘের ওই সদস্য দেশ জানিয়েছে, ‘দূরপাল্লা এবং মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধারাবাহিকতায় (এরই মধ্যে) উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’  

সদস্য দেশটির বরাতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার চুরি করা ভার্চুয়াল সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩১ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে অন্তত ৩৭ কোটি ডলার কয়লা রপ্তানি করে দেশটি। কিন্তু ২০২০ সালে তা ব্যাপকভাবে কমে যায়। আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাপক বিপর্যয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি।