গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৩ জন নিহত

টানা এক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ রোববারও ইসরায়েলি হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫০ জন। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে দুটি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। এ দিকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসপ্রধানের বাড়ি। হামাসের আল আকসা টেলিভিশনের এক খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে, গাজার হামাসপ্রধান ইয়াহইয়া আল সিনওয়ারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইয়াহইয়া আল সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তবে হামলায় এই নেতার কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা বা তিনি হামলার সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।

এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জনই শিশু। অপর দিকে আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে হামাস বর্তমান সংঘাতের সূচনা করেছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে এতে হতাহত যতটা কমানো যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই সংঘাতের জন্য অপরাধবোধে ভোগার কথা তাদের, যারা আমাদের ওপর হামলার মাধ্যমে এটি শুরু করেছে, আমাদের নয়। অভিযানের মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি আমরা, এটা শেষ হয়নি। যতদিন প্রয়োজন অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মাত্রা বেড়েছে।