গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ব্রিটিশ দূতাবাসের সাবেক নিরাপত্তা প্রহরীর জেল

Looks like you've blocked notifications!
জার্মানির বার্লিন দূতাবাসের একটি কম্পিউটারের ভিডিও করছেন রাশিয়ার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করা স্মিথ। ছবিটি সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া। ছবি : রয়টার্স

রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বার্লিনের ব্রিটিশ দূতাবাসে সাবেক নিরাপত্তা প্রহরীকে ১৩ বছর দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের ওল্ড বেইলির আদালত এ রায় দেয়। খবর রয়টার্সের।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ডেভিড বালেন্টাইন স্মিথ (৫৬)। তিন বছরের বেশি সময় অর্থের বিনিময়ে রাশিয়াকে গোপন তথ্য দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে বরিস জনসনের গোপন চিঠি ও অন্যান্য সংবেদনশীল নথি ছিল।

বিচারক মার্ক ওয়াল এ রায় দিয়েছেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত স্মিথকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,     ‘ব্রিটিশ বিরোধী ও রাশিয়াপন্থী মতামত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। আমি নিশ্চিত, রাশিয়াকে সহযোগিতার জন্যই আপনি এমনটি করেছেন। ব্রিটিশ স্বার্থের ক্ষতি করায় আপনার মূল উদ্দেশ্য ছিল। আপনার বিশ্বাসঘাতকতার জন্য রাশিয়ানরা আপনাকে অর্থ দিয়েছিল।’

রয়টার্স বলছে, ২০২০ ও তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে কয়েকবার রাশিয়াকে গোপন তথ্য দিয়েছে স্মিথ। এর জন্য তাকে আটটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে, বিচারক বলেছেন, স্মিথ তার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দুই বছর আগে শুরু করেছিলেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর নিক প্রাইস বলেন, ‘স্মিথ লোভ ও আমাদের দেশের প্রতি ঘৃণা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তার ঘৃণাটি স্পষ্ট ছিল।’

দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এই নিরাপত্তা প্রহরীকে গাদ্দার বলে অভিহিত করেছেন ব্রিটেনের নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুগেনডাট। তিনি বলেন, ‌‘সে আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ও আমাদের দূতাবাসকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। আমাদের স্পেশাল টিম এম১৫ ও জার্মানির সঙ্গীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

গত সোমবার প্রসিকিউটর এলিসন মরগান বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী জেনারেল মেজর সের্গেই চুখরভকের একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন স্মিথ। ওই চিঠিতে বার্লিনের  দূতাবাস এবং এর কর্মীদের সম্পর্কে অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য ছিল। চিঠিটি লেখা হয়েছিল দূতাবাসের নোটপ্যাডে।

ব্রিটিশ ও জার্মান কর্তৃপক্ষের যৌথ অনুসন্ধানে চিঠির বিষয়টি সামনে আসে।

নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘আমি লজ্জিত। সাতটি বিয়ার খেয়ে আমি এটি করেছি। তখন মনে হয়েছিল এটিই সঠিক।’