‘গুরুতর ভুল’ তবুও মুসোলিনির ডক্টরেট ডিগ্রি থাকছে

Looks like you've blocked notifications!
ইতালির সাবেক একনায়ক বেনিতো মুসোলিনি। ছবি : সংগৃহীত

ইতালির সাবেক একনায়ক বেনিতো মুসোলিনিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানকে ‘গুরুতর ভুল’ বলে উল্লেখ করলেও তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের দ্য ইউনিভার্সিটি অব লুসান।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৩৭ সালে ফ্যাসিবাদী ওই নেতাকে তাঁর জন্মভূমিতে একটি সামাজিক সংগঠনের ধারণ এবং সেটিকে উপলব্ধি করা জন্য, যা ইতিহাসে গভীর চিহ্ন রেখে যাবে বলে ওই ডিগ্রি প্রদান করে। খবর রয়টার্সের।

স্বৈরশাসক মুসোলিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যাডলফ হিটলারকে সমর্থন করেছিলেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে উঠেছিলেন। মুসোলিনিকে দেওয়া বিতর্কিত এ সম্মান প্রত্যাহার করে নিতে অতীতেও বহুবার লুসান বিশ্ববিদ্যালয়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিশনের একটি প্যানেল বিষয়টি পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ওই সময়ে মুসোলিনিকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত ‘একাডেমিক ওরাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি গুরুতর ভুল ছিল’।

প্যানেল আরও বলে, ‘এ উপাধি একটি অপরাধমূলক শাসন ব্যবস্থা এবং তাঁর (মুসোলিনি) আদর্শকে বৈধতা দিয়েছে।’

তবে ওই প্যানেল মুসোলিনির ডিগ্রি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরামর্শ দেয়নি। এর পক্ষে তাদের ব্যাখ্যা হচ্ছে, যদি এখন ডিগ্রি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তাহলে তা ওই সময়ে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ‘আজকের দিনে তা সংশোধন করে নেওয়া হচ্ছে’—এমন একটি ভুল বার্তা দেবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বলেছে, ‘আজকে এসে যদি পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে সমালোচকেরা এ বিশ্বাসে উপনীত হতে পারেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় নিজের অতীত মুছে ফেলতে চায়।’

বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও বলে, ‘এ পর্বটি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অংশ, সেটিকে অস্বীকার করা বা মুছে ফেলার চেয়ে বরং ইইএনআইএল কৃর্তপক্ষ এটিকে স্থায়ী সতর্কবার্তা হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।’

ফ্যাসিজমের প্রণেতা হিসেবে মনে করা হয় মুসোলিনিকে। ১৯২২ সালে ফ্যাসিস্ট শক্তি ‘কিংডম অব ইতালি’র ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিতো মুসোলিনি। তাঁর কাছ থেকেই জার্মান ফ্যাসিস্ট শাসক হিটলার অনুপ্রেরণা পান বলে ধারণা করা হয়। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন মুসোলিনি। ১৯৪৫ সালে স্পেনে পালানোর সময় তাঁকে হত্যা করা হয়।