জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন

গ্লাসগোয় শুরু ‘শেষ ভরসা’র কপ-২৬

Looks like you've blocked notifications!
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি আব্দুল্লা শহীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন কপ-২৬ সভাপতি অলোক শর্মা (ডানে)। সঙ্গে রয়েছেন কপ-২৫-এর সভাপতি ক্যারোলিনা স্মিডিট (ডান থেকে দ্বিতীয়) ও জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় ২০০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিদের নিয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ শুরু হয়েছে গতকাল রোববার। বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধির গতি কমাতে এবং এরই মধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ সম্পর্কে দুই সপ্তাহ ধরে চলবে দেনদরবার। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাত দিয়ে ইউএস নিউজ তাদের প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।

রোববার সম্মেলন শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পর। গতবারের সম্মেলন কপ–২৫–এর সভাপতি চিলির ক্যারোলিনা স্মিডিট এর উদ্‌বোধন ঘোষণা করেন। এরপর কপ-২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।কপ-২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মা বলেন, ‘বিশ্বের ১৯৫টি দেশের সর্বসম্মত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে হারে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটছে, তাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। তবে সদস্যদেশগুলো যে অঙ্গীকার করেছে, তাতে ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস উদ্‌গীরণ কমবে। এই অঙ্গীকারের মাত্রা আরও অনেক বাড়াতে হবে।’

বৈশ্বিক উষ্ণায়নবৃদ্ধির মাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে এ সম্মেলনকে ‘শেষ ও সর্বোত্তম ভরসা’র সম্মেলন আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা।

সম্মেলনের উদ্‌বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা বলেন, ‘সরকারপ্রধানদের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে। তাঁরা গ্রিনহাউস গ্যাস উদগীরণ কমিয়ে আনতে পারেন। এতে উষ্ণায়ণের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো টিকে থাকতে পারবে। অন্যথায় আমাদের এ পৃথিবীকে কঠিন ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়াটাই মেনে নিতে হবে।’

এস্পিনোসা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে গ্লাসগোতে আমাদের অগ্রগতি আনতেই হবে। এখানে অবশ্যই সাফল্য দেখাতে হবে।’

অন্যদিকে, ইতালির রোমে সদ্য জি-২০ সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানেও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। তবে, আশানুরূপ প্রতিশ্রুতি মেলেনি বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। অথচ জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোই তিন-চতুর্থাংশ পৃথিবীর জলবায়ুবিধ্বংসী কার্বন নিঃসরণ করে থাকে।

চীন, রাশিয়াসহ দূষণে অবদান রাখা প্রধান দেশগুলো এরই মধ্যে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে জ্বালানি নির্ভর দূষণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার যে পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, তাতে বিশেষ আগ্রহ নেই চীন রাশিয়ার।

তবে রাশিয়া রোববার বলেছে, তারা ২০৬০ সালের লক্ষ্যমাত্রায় অটল রয়েছে।

জি-২০ সদস্য দেশ রাশিয়া ও চীন জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের আগমুহূর্তে এসে প্রতিশ্রুতিগুলোর বিষয়ে ‘তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না’ বলে রোমে জি-২০ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

অন্য দিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যদি এবার গ্লাসগো সম্মেলন ব্যর্থ হয়, তাহলে সবকিছু বিফলে যাবে।’