চরম বৈরী আবহাওয়াই এখন নতুন স্বাভাবিক : ডব্লিউএমও

Looks like you've blocked notifications!
জার্মানির ডুইসবার্গে একটি স্টিল মিলের বাইরের দৃশ্য। ছবি : রয়টার্স

চরম বৈরী আবহাওয়াই বর্তমান বিশ্বের ‘নতুন স্বাভাবিক’—এমনটা বলছে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে একটি প্রতিবেদনে এমনটা জানায় তারা। বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

কপ-২৬ সম্মেলনের উদ্‌বোধনী দিনে শীর্ষ সম্মেলনটির সভাপতি, ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা বলেছেন, ‘শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি হার এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রিতে বা তার নিচে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে এবং বিশ্বনেতাদের ওপর চাপ তৈরি করতে গতকাল রোববার কপ-২৬ সম্মেলন ঘিরে বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছেন শত শত মানুষ।

কয়েকদিন ধরে এমন বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল যুক্তরাজ্য আর ইতালিতে।

এমন বিক্ষোভে থাকছেন বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। গ্লাসগোর বিক্ষোভে যোগ দিতে তিনি পৌঁছেছেন স্কটল্যান্ডে। এ সময় তাঁকে দেওয়া হয় পুলিশি পাহারা।

গতকাল রোববার থেকে স্কটিশ শহর গ্লাসগোতে শুরু হয় কপ–২৬ সম্মেলন, যা চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।

উদ্‌বোধনী দিনে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ টুয়েন্টি সিক্সের সভাপতি ব্রিটিশ এমপি অলোক শর্মা বিশ্বনেতাদের সম্মেলনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময় হিসেবে অ্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, জি টুয়েন্টির ২০টি দেশ বিশ্বের ৮০ ভাগ কার্বণ নিঃসরণের জন্য দায়ী। তাই এদেরকেই জলবায়ু পরিবর্তনের দায় নিতে হবে। নিতে হবে প্রতিরোধী ব্যবস্থা।

কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বের ২০০টি দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেনজের নির্বাহী সচিব প্যাট্রিসিয়া এসপিওনোসা।

২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে, তা নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াল তাপমাত্রায় সীমিত রাখার বিষয়ে জোরালো সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছেন, ইন্টার গভার্নমেন্টাল প্যানেল অব ক্লাইমেট চেনজের সভাপতি হোসাং লি।

উদ্‌বোধনী আলোচনায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করা ইন্ডিয়া লোগান রিলি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জীব বৈচিত্রের হুমকি নিয়ে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিও আমরা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছি।

আর, জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা ডব্লিউএমও বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে একটি আগাম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যাতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহ, বিধ্বংসী বন্যাসহ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার ঘটনাগুলোই এখন নতুন স্বাভাবিক এবং মানুষের কারণে জলবায়ুর যে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ বাড়ছে।

তবে, জি টুয়েন্টির সমাপনী অনুষ্ঠানে জলবায়ু নিয়ে চীন রাশিয়াকে দুষেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।