চীনের যে মেগাসিটিতে মাস্কের ব্যবহার বিরল, ক্লাবগুলোও ভরপুর
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং করোনাভাইরাসের লাগাম টানতে কঠোর ‘শূন্য-কোভিড নীতি’ প্রয়োগ করেন। এতে দেশটির লাখ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হন জিনপিং।
বেইজিং, সাংহাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে মাসের পর মাস ‘জিরো-কোভিড নীতি’র দোহাই দিয়ে লকডাউন দিয়ে রেখেছে চীনা প্রশাসন। গুরুত্বপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক হাব হিসেবে পরিচিত শহরগুলো দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় সেখানে বিনিয়োগ করা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সমালোচনার জবাবে চীনের কর্তৃপক্ষ বরাবরই যে কথাটি বলে এসেছে তা হলো—করোনা নির্মূলে তারা এ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
কিন্তু করোনা নির্মূলে বেইজিংয়ের কঠোর নীতির মধ্যেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেল দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মেগাসিটি চংকিংয়ে। শহরটিতে নেই মাস্কের কোনো বালাই। পার্টি সেন্টারগুলো লোকারণ্য, চলাচল বা ভ্রমণেও নেই কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শহরের বাইরের কেউ শহরটিতে প্রবেশ করলে তাকে থাকতে হচ্ছে না কোয়ারিন্টিনে।
সংবাদমাধ্যম দ্য জাপান টাইমস জানিয়েছে, শহরটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত রয়েছে। স্বল্প বা ঝুঁকিপূর্ণ কোনো অঞ্চল থেকে কেউ শহরে প্রবেশে করলে পিসিআর ল্যাব টেস্ট করতে হবে এবং উচ্চঝুঁকির কোনো অঞ্চল বা দেশে থেকে এলে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখন আর সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
শহরটির র্যাফেলস হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার কেলেন লিওং জানান, আগে করোনাবিধি মানা হলেও ইদানীং সবকিছুতে ঢিলেঢালাভাব দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আগে শহরের বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশের সময় কয়েকটি চেকপয়েন্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু ,কিছুদিন আগেই তিনি সাংহাই থেকে ফিরে। কয়েকটি পয়েন্টে তাঁর কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চং জা ইয়ান বলেছেন, চীনের উচিত সমন্বিতভাবে লকডাউন দেওয়া। কিছু শহরকে বাদ দিয়ে লকডাউন দেওয়া হলে পুনরায় সংক্রমণ ফিরে আসতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।