চীনে করোনায় মৃত বেড়ে ৬৩৬, আক্রান্ত ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন আজ শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে আরো ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চীনে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরো তিন হাজার ১৪৩ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ হাজার ১৬১ জনে।
এদিকে জাপানে নোঙর করানো একটি প্রমোদতরীর অন্তত ৬১ জন আরোহীর শরীরের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে চীন ছাড়াও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ২৫টি দেশে। এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইন ও হংকংয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে (পৃথক করে রাখা) রেখে পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে হংকং।
এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম করোনাভাইরাস ঠেকাতে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি। সময় অনেক গড়ালেও আক্রান্ত এলাকায় ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এখন পর্যন্ত তেমন উন্নতি হয়নি। উল্টো অবনতি হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভাইরাসটি সংক্রমিত হচ্ছে আশপাশের একাধিক শহরে। বেশ কিছু জায়গা নতুন করে অবরুদ্ধ করেছে চীন সরকার। একটা করে রাত কাটছে আর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। আর গতকাল মৃতের সংখ্যা অতীতের সব পরিসংখ্যানকেও ছাড়িয়ে যায়।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ত্রুটি ও নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে নিয়েছে চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি বলছে, এখন দেশের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনার সিস্টেমে উন্নতি ঘটাতে হবে। এ ছাড়া ভাইরাসের উৎপত্তিস্থলের বন্যপ্রাণীর বাজারে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।