চীনে যাচ্ছেন তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ। ছবি : রয়টার্স

এই মাসেই চীনে যাচ্ছেন তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ। আজ রোববার (১৯ মার্চ) মা-এর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বেইজিং ও তাইপের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ খবর সামনে এলো। খবর রয়টার্সের।

সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ তাইওয়ানের কুয়োমিনটাং (কেএমটি) পার্টির নেতা। বর্তমানে তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে দলটি। ১৯৪৯ সালে চীনের মূল ভূখণ্ডে গৃহযুদ্ধে কমিউনিস্টরা বিজয়ী হয়। এরপরেই তৎকালীন কেএমটি পার্টির নেতাকর্মীরা তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। তখন থেকে কোনো কেএমটি নেতা আর চীনে যায়নি। তবে, সেই রীতি ভাঙতে যাচ্ছেন মা।

রয়টার্স বলছে, কেএমটি পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা মা। ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মা। 

মা ইং-জিউয়ে কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ মার্চে চীনে যাবেন মা। সেখানে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবেন তিনি। এ সময়ে নানজিং, উহানম চাংসা, চংগিং ও সাংহাই ভ্রমণ করবেন মা। সফরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কেএমটি পার্টির এই নেতা। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসিদ্ধ সাইটগুলো পরিদর্শন করবেন।

এই সফরে মা কোনো চীনা কর্মকর্তা বা দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি।

রয়টার্স বলছে, চীনের সঙ্গে কেএমটি পার্টির একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা নিজেদের বেইজিংপন্থী নয় বলে দাবি করে। তবে, কোভিড বিধিনিষেধ শিথিলের পর থেকে চীনে যান কেএমটি পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান। সফরে কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

কেএমটি পার্টির ঊর্ধ্বতনদের চীন সফর নিয়ে সতর্কতা জানিয়েছে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। বেইজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও তাইওয়ানকে বিক্রি করে দিতে কেএমটির পার্টির সদস্যরা সেখানে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন তারা।  

চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।