চীন আরও বৈদেশিক নৌঘাঁটি বানাতে চায় সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে চীনের সাম্প্রতিক চুক্তি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের আধিপত্য বিস্তার এবং পরবর্তীকালে ওই দ্বীপপুঞ্জে শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে বেইজিং পরিকল্পনা করতে পারে বলে উদ্‌বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। হংকং পোস্টের প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

হংকং পোস্ট জানিয়েছে, দি ইকোনমিস্ট রিপোর্ট করেছে যে, চীন তার সামরিক জাহাজ নোঙর করার জন্য অন্তত পাঁচটি সম্ভাব্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের একমাত্র নৌঘাঁটি হর্ন অব আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে অবস্থিত।

তবে, দেশটি ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু দেশ যেমন—ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের বন্দরে পা রাখার চেষ্টা করছে। সেজন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং, যাতে সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের ওপর নজরদারি করা যায় এবং অন্যান্য দেশের নৌবহরের ট্রানজিট রাখা যায়।

হংকং পোস্ট আরও জানিয়েছে, ওই বন্দরগুলো নানাবিধ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। শান্তির সময়ে রিফুয়েলিং, সরবরাহ এবং জাহাজ মেরামতের কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে, বন্দরগুলোতে চীন এমন সুবিধাও পাবে যেখানে ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মী, অস্ত্র ও সরঞ্জাম সংরক্ষণে থাকবে। আর, এ বিষয়টি নিয়েও মার্কিনিরা যথেষ্ট উদ্‌বিগ্ন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত তিন বছরে কম্বোডিয়ার নৌবাহিনীর ঘাঁটি ব্যবহারের জন্য চীন দেশটির সঙ্গে গোপন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নিরক্ষীয় গিনিতে তার নিজস্ব নৌঘাঁটি নির্মাণে আলোচনার চেষ্টা করেছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) চীন দ্বারা চালিত হয় এমন বন্দরের অভ্যন্তরে গোপনে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের প্রচেষ্টাও চালিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনের মূল উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের কবজা থেকে মুক্ত হওয়া, এবং দেশটির নৌবহর যেন ইন্দো-প্যাসিফিক দিয়ে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া চীনের এমন একটি নৌবাহিনীরও প্রয়োজন, যা তার বিদেশি বিনিয়োগ, জাহাজ চলাচলপথ এবং যারা বিদেশে বসবাস করে বা কাজ করে, তাদের রক্ষা করতে পারে।