চীন শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করলে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে জাপান
চীন যদি জোরপূর্বক তাইওয়ানকে তাদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করতে চায়, তাহলে দেশটিকে রক্ষায় জাপান সামরিক পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট পটিঙ্গার। সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষকর্মকর্তার সঙ্গে প্যানেল বৈঠকে পটিঙ্গার জানিয়েছেন, সর্বপ্রথম জাপানের পক্ষ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চার দেশের জোট গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়। চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা কৌশল হিসেবে গঠিত এ জোটটি বর্তমানে ‘কোয়াড’ নামে পরিচিত।
পটিঙ্গার আরও বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের কৌশলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আমরা ধার নিয়েছি, অভিযোজন করেছি এবং জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি।’
এ ছাড়া সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা পটিঙ্গার বলেন, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে কোয়াড গঠনের পুরো ধারণাটি প্রকাশ করেন।
পটিঙ্গার বলেন, “জাপানের সেনাবাহিনীতে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে—তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা, জাপানের প্রতিরক্ষা।’ আর এ কারণেই জাপান প্রয়োজনীয়তা বুঝেই কাজ করবে বলে আমি মনে করি।’ তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমের বিমানপ্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে চীনের একের পর এক বিমান হামলার মধ্যেই পটিঙ্গার এই মন্তব্য করলেন।
পটিঙ্গারকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের চীনের প্রতি কঠোর নীতিগুলোর অন্যতম রূপকার হিসেবে মনে করা হয়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোয়াডের আলোচনা সামনে এগিয়ে নিতে বাইডেন প্রশাসন যেভাবে আলোচনা করেছেন সে বিষয়ে সমর্থনমূলক মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান।
পম্পেও এ ক্ষেত্রে বলেন, কোয়াডের সদস্যভুক্ত দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে এবং এখানে প্রশাসনের সময়ের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি আশা করছি, পরবর্তী প্রশাসন এ বিষয়ে ভালো কিছুই বলেছে। তারা নিয়মিত প্রশংসা করেছে; তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে হাতে গোনা যে কয়েকটি বিষয়ে কিছু হলেও কৃতিত্ব দিয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি। তারা জোটটি দাঁড় করাতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।’
এই জোটের প্রতি বাইডেন প্রশানসনের দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে অখ্যায়িত করেছেন ও’ব্রায়ান। তিনি বলেন, ‘কোয়াড এবং এই সম্পর্কগুলো শক্তিশালী করার প্রসঙ্গ এলে বাইডেন প্রশাসন সবসময়ই ইতিবাচক ছিল। আশা করব, তারা এ ধারা অব্যাহত রাখবে।’