জলবায়ু নিয়ে পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের ‘২ মিনিটের মধ্যেই’ বন্যার কবলে কাউন্সিল!
বন্যার ভয়াবহতা নিরসনে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে নতুন পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছিল ইতালির ভেনেতোর আঞ্চলিক কাউন্সিল। কিন্তু এ প্রত্যাখ্যানের রেশ যেতে না যেতেই প্রথমবারের মতো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় ওই কাউন্সিল। গত মঙ্গলবার রাতে ভেনিসের গ্র্যান্ড ক্যানালের ওপর অবস্থিত ভেনেতো কাউন্সিলে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে।
এরই মধ্যে আঞ্চলিক কাউন্সিলের মুখপাত্র আলেসান্দ্রা ওভিজাচ সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, ২০২০ সালের বাজেট সংশোধনী নিয়ে আলোচনার সময় কাউন্সিলে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে।
এদিকে গত ৫০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে রয়েছে ইতালির এই ঐতিহ্যবাহী শহর।
পরিবেশবিষয়ক কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আন্দ্রে জানোনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বন্যায় প্লাবিত আঞ্চলিক কাউন্সিল কার্যালয় কক্ষের ছবি পোস্ট করে অনেকটা ব্যঙ্গাত্মকভাবেই লেখেন, ‘মেজরিটি লিগ ব্রাদার্স অব ইতালি ও ফরজা ইতালিয়া পার্টি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করার দুই মিনিটের মাথায় কার্যালয় কক্ষে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে।’
এদিকে প্রাকৃতিক জোয়ারের পানিতে ইতালির ভেনিসের প্রায় ৮৫ ভাগ এলাকা ডুবে গেছে। জোয়ার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উচ্চ জলরাশি ১ দশমিক ৮৭ মিটারে পৌঁছে গেছে, যাতে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জলরাশির কবলে পড়েছে স্বপ্নের এই নগরী।
শহরের ক্ষতি গুরুতর। তবে পানি পুরোপুরি নেমে গেলে তার সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে সান মার্কোর বেসিলিকাসহ পুরো শহর ও দ্বীপপুঞ্জের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। জানা যায়, এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভেনিসের মেয়র লুইজি ব্রোনারো টুইটে লেখেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি বিরল উচ্চ জোয়ারের মুখোমুখি। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এ ছাড়া মেয়র ভেনিসকে দুর্যোগপূর্ণ ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ভেনিস পরিদর্শন করেন। তিনি বলেছেন, এটি শুধু ভেনিস কিংবা ইতালি নয়, পুরো বিশ্বের ক্ষতি।