জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তা হত্যা : কঙ্গোয় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তা জাইদা কাতালান এবং মাইকেল শার্পকে হত্যার দায়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তা জাইদা কাতালান এবং মাইকেল শার্পকে হত্যার দায়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক ‍অব কঙ্গোয় ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে শুনানি চলার পর শনিবার ওই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার দিন আদালতে বেশিরভাগ আসামি উপস্থিত ছিলেন না। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।

২০১৭ সালে কঙ্গোর কাসাই অঞ্চলে সুইডেন-চিলি বংশোদ্ভূত জাইদা কাতালান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মাইকেল শার্পকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। কঙ্গোর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে একটি জঙ্গি দলের লড়াইয়ের সময় বহু মানুষকে হত্যার পর গণকবর দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য ওই দুই কর্মকর্তা কঙ্গো গিয়েছিলেন। তাদের দোভাষী বেতু শিনতেলাকেও হত্যা করা হয়। অপহরণের ১৬ দিন পর তাদের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। কাতালানের শিরশ্ছেদ করা ছিল।

এ ঘটনায় জাতিসংঘ হতবাক হয়ে যায়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, এ ঘটনায় ‘ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তার সংস্থা থেকে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে’।

কাসাইয়ে সংঘাতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালের অগাস্টে স্থানীয় নেতা কামউইনা সাপুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ওই সংঘাতের শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে চলা ওই সংঘাত শেষ হয় ২০১৭। যুদ্ধে ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।

শনিবারের রায়ে যে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগই জঙ্গি দলের সদস্য। শেষ পর্যন্ত তাদের ‍মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ‍যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হতে পারে। কারণ ২০০৩ সালে কঙ্গো সরকার মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলের ঘোষণা দেয়।

যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় একজন অভিবাসন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ ছাড়া, একজন আর্মি কর্নেলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানায় রয়টার্স।