জান্তার বিরুদ্ধে লড়তে পশ্চিমাদের কাছে অস্ত্র চাইল মিয়ানমারের ছায়া সরকার

Looks like you've blocked notifications!
গত বছরের ডিসেম্বরের এ ছবিতে মিয়ানমারের পিপল’স ডিফেন্স বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধাদের দেখা যাচ্ছে। ছবি : রয়টার্স

রুশ বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে, একই ধরনের সমর্থন চেয়েছে মিয়ানমারের ছায়া সরকার। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত প্রতিরোধ বাহিনীকে সশস্ত্র করতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ছায়া সরকারের প্রতিরক্ষাপ্রধান। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ে মন বলছেন—ইউক্রেনের জনগণ এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি মিলিশিয়া স্বাধীনতার জন্য লড়ছে এবং প্রাণ দিচ্ছে। কিন্তু, যারা মিয়ানমারের সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে, তাদের কেবল আন্তর্জাতিক সংহতির চেয়ে বেশি কিছু প্রয়োজন।

রয়টার্সকে দেওয়া হাতে লেখা মন্তব্যে ইয়ে মন বলেন, ‘মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান আমাদের নৈতিক সমর্থন জোগাচ্ছে, এবং এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা যদি অস্ত্র ও অর্থের মতো সমর্থন পাই, তাহলে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ থাকব।’

‘এমন সমর্থন পেলে আমরা জনগণ এবং তাদের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দ্রুত বিপ্লব সম্পন্ন করতে সক্ষম হব’, যোগ করেন ইয়ে মন।

মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর জোট এই ‘এনইউজি’। গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলো নিজেদের সামরিক শক্তিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় গত বছর মিয়ানমারে গ্রামাঞ্চলে ‘জনতার প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ’ ঘোষণা করে। মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ‘এনইউজি’কে ‘সন্ত্রাসী’ বলে ঘোষণা করেছে।

ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আগ্রাসন চালানো শুরু করেছে রাশিয়া। যদিও মস্কো এটিকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলে অভিহিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।

অন্যদিকে, গত বছরের গোড়ার দিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অশান্তি চলছে।