জাপানের মূল্যস্ফীতি ৪১ বছরে সর্বোচ্চ

Looks like you've blocked notifications!
জাপানের রাজধানী টোকিওতে একটি সপুারমার্কেটে নিত্যপণ্য কিনছে ক্রেতারা। ছবি : রয়টার্স

জাপানের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। নিত্যপণ্য কিনতে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে দেশটির ভোক্তাদের। গত মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারিতে দেশটিতে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাপানের সরকারি তথ্যের বরাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

জাপান সরকারের নতুন তথ্যানুযায়ী, এশিয়ার দেশটিতে জ্বালানির দাম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম বাড়ায় বেশ চাপে রয়েছে জাপানিরা। খরচ বাড়লেও তাদের মজুরি বাড়ছে না। চাপে রয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারকরাও।

গত জানুয়ারিতে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) আগের বছরের একই সময়ের থেকে চার দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে। মাসটিতে মূল্যস্ফীতি হয় শূন্য দশমিক চার শতাংশ। আর গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল শূন্য দশমিক তিন শতাংশ। 

১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম এমন মূল্যস্ফীতি দেখছে জাপানিরা। ওই সময় মধ্যপ্রাচ্যে তেল সংকটের জন্য বিপাকে পড়ে জাপান। হুড়মুড়িয়ে বাড়ে জ্বালানির দাম। মূলত জ্বালানির দিক থেকে পুরোপুরি আমদানি নির্ভর সূর্যোদয়ের দেশটি।

মূল্যস্ফীতি দুই শতাংশে থাকবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিওজি)। তবে, টানা নয় মাস ধরে তাদের পূর্বাভাস কাজে আসেনি। এতে করে বেশ চাপে রয়েছে বিওজি।

এ বিষয়ে এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়োশিমা মারুইয়োমা বলেন, ‘সম্ভবত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছিল। বিওজির পূর্বাভাস কোনো কাজে আসছে না।’

রয়টার্স বলছে, বিওজির আসন্ন গভর্নর কাজউই উয়েদা মূল্যস্ফীতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। বিওজির পলিসিতে বার বার আঘাত করছে মার্কেট। এর ফলে সুদের হার বাড়াতে হচ্ছে বিওজিকে।