জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানিতে জোট নেতারা

Looks like you've blocked notifications!
জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : রয়টার্স

সাতটি ধনী দেশের জোট জি৭-এর সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানিতে পৌঁছেছেন জোটনেতারা। আজ রোববার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ব্যাভারিয়ান আল্পসে তিন দিনের এ শীর্ষ সম্মেলনে জোটের নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের যুদ্ধ, এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি, জ্বালানি ঘাটতি এবং বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে এবারের জি৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

এবারের সম্মেলনটি গত বছরের তুলনায় আরও অন্ধকার ভবিষ্যতের পটভূমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর সম্মেলনে ব্রিটিশ, কানাডীয়, ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, জাপানি ও মার্কিন নেতারা আরও ভালো প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আঘাত করছে।

এদিকে, জাতিসংঘ গত শুক্রবার একটি ‘অভূতপূর্ব বিশ্ব ক্ষুধা সংকটের’ ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

এবারের সম্মেলনে জি৭ নেতারা জলবায়ু পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান চীন শক্তি এবং কর্তৃত্ববাদের উত্থান নিয়ে আলোচনা করবেন।

জি৭ নেতারা যত দিন প্রয়োজন, তত দিন ইউক্রেনকে সমর্থন করা এবং ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। তবে, তাঁরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে চাইবেন, যা মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং তাঁদের দেশে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, জি৭ অংশীদারেরা রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ করতে সম্মত হতে চলেছে। তবে, জার্মান সরকারের একটি সূত্র পরে বলেছে যে, নেতারা রাশিয়ান তেল আমদানির সম্ভাব্য মূল্য বিষয়ে ‘সত্যিই গঠনমূলক’ আলোচনা করছেন।

জি৭ নেতারা ক্রমবর্ধমান জালানির দাম মোকাবিলা এবং রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানির বিকল্প নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।