জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাশিয়া দায়ী : জার্মানি

Looks like you've blocked notifications!
জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ প্রতিদিন সাত কোটি কিউবিক মিটারের নিচে সীমাবদ্ধ করেছে রাশিয়া। ছবি : রয়টার্স

সরবরাহ অনেকটা কমিয়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে দায়ী করেছে জার্মানি। গ্যাজপ্রম বলছে, তারা জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ প্রতিদিন সাত কোটি কিউবিক মিটারের নিচে সীমাবদ্ধ করেছে, যা বর্তমান হারের অর্ধেকেরও কম।

রাশিয়া থেকে জার্মানিতে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন মেরামতের জন্য সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছে গ্রাজপ্রম।

তবে গ্যাজপ্রমের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেন বলেছেন, এটা কোনো কারিগরি সমস্যা নয়। রাজনৈতিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবিসির বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জার্মান অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই জ্বালানির বাজার অস্থিতিশীল করা ও এর মূল্যবৃদ্ধির একটি কৌশল।’

গত মঙ্গলবার গ্যাজপ্রম জানায়, নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ১৬ কোটি ৭০ লাখ থেকে কমিয়ে ১০ কোটি কিউবিক মিটারে নামিয়ে আনবে তারা। পরদিন বুধবার আবার ঘোষণা দিয়ে জানায়, প্রতিদিন ১০ কোটি নয় নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে ৬ কোটি ৭০ লাখ কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

শুধু জার্মানি নয় ইতালিতেও গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে গ্র্যাজপ্রম। গতকাল বুধবার গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, ইতালিতে প্রতিদিন গ্যাস সরবরাহ প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেবে তারা। জার্মানির মতো ইতালিও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশটি রাশিয়া থেকে মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে বেশির ভাগ তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হন। এরই প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়েছে বলে জানাচ্ছে বিবিসি।

রাশিয়ার জ্বালানি কিনতে হলে ‘বন্ধু নয় এমন দেশগুলোকে’ রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধের শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু মস্কোর এ শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস। শর্ত না মানায় এসব দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।