প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট

ট্রাম্প অসুস্থ থাকলে দ্বিতীয় বিতর্ক চান না বাইডেন

Looks like you've blocked notifications!
ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত থাকলে দ্বিতীয় বিতর্ক চান না জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ থেকে সেরে না উঠলে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক আয়োজন করা উচিত হবে না বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমাক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি যদি তখনো তাঁর (ট্রাম্পের) করোনা থাকে, তাহলে বিতর্কে যাওয়া উচিত হবে না।’

এ ছাড়া বিতর্ক আয়োজনের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা অনুসরণের প্রতি জোর দেন বাইডেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের খুব কঠোর নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং এটা খুবই গুরুতর একটি সমস্যা।’

বাইডেন জানান, তিনি স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করে বিতর্কে যোগ দিতে চান।

সাংবাদিকদের বাইডেন আরো বলেন, ‘আমি তাঁর (ট্রাম্পের) বিতর্কে অংশ নেওয়ার মতো সক্ষম হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। কিন্তু আমি আশা করছি তা হবে স্বাস্থ্যবিধির সব নিয়মনীতি মেনে।’

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু তিনি বিপদমুক্ত নন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার টুইট করে বলেছেন, তিনি পরবর্তী বিতর্কে অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১৫ অক্টোবর মায়ামিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে সশরীরে অংশ নিতে ইচ্ছুক বলে তাঁর প্রচারশিবির থেকে জানানো হয়েছে। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকান ট্রাম্পের এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেওয়া শেষে হোয়াইট হাউসে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার এক টুইটে বলেন, ‘মায়ামিতে ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত বিতর্কের দিকে তাকিয়ে আছি। এটা (বিতর্কে অংশ নেওয়া) দারুণ ব্যাপার হবে।’

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর তাঁর নির্বাচনী প্রচার দলের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক টিম মার্টাফ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সশরীরে (বিতর্কে) অংশ নিতে চান।’

তবে ট্রাম্পের সশরীরে বিতর্কে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পৃষ্ঠপোষণকারী অলাভজনক গোষ্ঠী প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট কমিশন তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিনটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট ও একটি ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পরদিন, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর মার্কিন ভোটারদের মধ্যে জরিপটি চালায় গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম এনবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্ক একটি অন্যতম অনুষঙ্গ এবং এটি নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন নিতে হলেও বিতর্ক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে প্রার্থীদের প্রজ্ঞা, মেধা, সহনশীলতাসহ অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পান ভোটাররা। আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডার মায়ামি ও ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে এবং ৭ অক্টোবর ইউটার সল্টলেক সিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক পেন্স ও ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।