ট্রাম্প কারাগারে যাক, চান না সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি
ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তিনি জামিনও পেয়েছেন। ওই মামলার বাদী সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। যদিও তিনি ট্রাম্পকে কারাগার দেখতে চান না। আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
স্টর্মির মামলায় ট্রাম্প গ্রেপ্তার হলে অনেকটা অগোচরে ছিলেন সাবেক পর্ন তারকা। অবশেষে জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের পিয়েরস মরগানের শো-তে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্টর্মি। সেখানে সাবেক এই পর্ন তারকা বলেন, ‘আমার মতে, তিনি (ট্রাম্প) আমার সঙ্গে যে অপরাধ করেছেন, তাতে তিনি কারাদণ্ডের যোগ্য নয়। আমি তার (ট্রাম্প) অন্য কাজগুলো নিয়ে চিন্তা করছি। শেষ পর্যন্ত যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাকে হয়তো কারাগারে যেতেই হবে।’
স্টর্মির মামলায় গত মঙ্গলবার ম্যানহাটনের ফৌজদারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ট্রাম্প। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে বিচারপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ পড়ে শোনান। ট্রাম্প অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণ না হওয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্টকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস দুটি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি মানহানি মামলা ও অপরটি ঘুষ দেওয়ার মামলা। তবে, ইতোমধ্যে মানহানি মামলায় হেরে গেছেন স্টর্মি।
সাবেক পর্ন তারকার দাবি অনুযায়ী, প্রায় এক দশক আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্ক ছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনের দেড় সপ্তাহ আগে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলার জন্য স্টর্মিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন। শুধু তাই নয়, এই অর্থগ্রহণের বদলে ড্যানিয়েলস ট্রাম্পের সঙ্গে একটি অপ্রকাশযোগ্য বা নন-ডিসক্লোজার চুক্তিতে সই করেন। তবে, ট্রাম্পের দাবি, পুরো বিষয়টি মিথ্যে। অর্থ লেনদেনের ব্যাপার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আসন্ন বিচারে স্টর্মি সাক্ষ্য দেবেন কি না, জানতে চাইলে স্টর্মি বলেন, ‘আমি অবশ্যই যাব। এটা দুঃসাহসিক। কিন্তু, আমি এটার অপেক্ষায় আছি। আমার লুকানোর কিছু নেই। আমিই একমাত্র ব্যক্তি, যে সত্য বলছে।’
আদালত প্রাঙ্গণে ট্রাম্পকে দেখে স্টর্মির অনুভূতি কেমন ছিল এই প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই পর্ন তারকা বলেন, ‘আমার অনুভূতি ছিল মিশ্র। তবে, বেশিরভাগ সময় আমি বেদনায় কাতর ছিলাম।’