ডেলটা ধরন : মহামারিতে সবচেয়ে খারাপ দিন দেখল সিডনি

Looks like you've blocked notifications!
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা টানা লকডাউনের মধ্যেও করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেলটা ধরনের বিস্তার রোধে হিমশিম খাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। ছবি : সংগৃহীত

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা টানা লকডাউনের মধ্যেও করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেলটা ধরনের বিস্তার রোধে হিমশিম খাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। কোভিডে একদিনে পাঁচ মৃত্যু ও স্থানীয় পর্যায়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে সিডনি।

বৃহস্পতিবার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে নতুন ২৬২ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে রোববার শহরটি ২৩৯ কোভিড রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল। বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল সিডনির সর্বোচ্চ দৈনিক শনাক্ত।

নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বিশেষ করে ষাটোর্ধ্বদের দ্রুত টিকা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে বলেছে, নতুন যে পাঁচ কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের চারজনেরই টিকা নেওয়া ছিল না; অন্যজন নিয়েছিলেন টিকার প্রথম ডোজ।

মৃত পাঁচজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। পুরুষদের মধ্যে তিনজনের বয়স ৬০ বছরের ঘরে, অন্যজনের ৭০ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। নারীটির বয়স ৮০ বছরের ঘরে। সব মিলিয়ে এবারের প্রাদুর্ভাবে নিউ সাউথ ওয়েলসে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সিডনির উত্তরে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নিউক্যাসেলের চারপাশের এলাকায় ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সেখানেও বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে।

এদিকে কুইন্সল্যান্ডও বৃহস্পতিবার নতুন ১৬ রোগীর দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে। আগের দুইদিনও রাজ্যটিতে একই সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনেও লকডাউন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ভিক্টোরিয়ায় নতুন রোগী মিলেছে আটজন। আগের দিন বুধবার রাজ্যটিতে দৈনিক শনাক্ত ছিল শূন্য, একমাসের মধ্যে এমনটা আর কখনোই দেখা যায়নি।

মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ৩৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৩২ জনের। এই সংখ্যা অনেক দেশের তুলনায় কম হলেও গণটিকাদানে ধীরগতি দেশটির কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।