তর্কাতর্কির সময় বান্ধবীকে বিভৎসভাবে খুন, স্বীকার করলেন রুশ অধ্যাপক
বান্ধবীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন স্বনামধন্য রুশ ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ওলেগা সকলভ। ৬৩ বছর বয়সী এই অধ্যাপক মাতাল অবস্থায় নদীতে নেমে বান্ধবী আনাস্তাসিয়া ইয়েশ্চেঙ্কোর মরদেহের কিছু অংশ পানির নিচে পুঁতে রাখার চেষ্টা করেন। এ সময় অধ্যাপক সকলভের ব্যাগে এক নারীর ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
অন্যদিকে অধ্যাপকের ২৪ বছর বয়সী বান্ধবীর শরীরের ক্ষতবিক্ষত বাকি অংশ আনাস্তাসিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অধ্যাপক সকলভ একজন নেপোলিয়ন বিশেষজ্ঞ এবং এ কারণে তিনি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ খেতাব লিজেন দ্য অনার-এ ভূষিত হন। অধ্যাপক সকলভের সঙ্গে যৌথভাবে কিছু নিবন্ধ লেখেন ফরাসি ইতিহাসের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ইয়েশ্চঙ্কো।
দুজন সম্পর্কেই জানাশোনা আছে এমন একজন বলেন, ‘ইয়েশ্চেঙ্কো নীরব, নম্র ও মিষ্টি একটি মেয়ে, সে সব সময়ই পড়াশোনায় অসাধারণ ছিলেন। আর অধ্যাপক সকলভের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি সবাই জানত।’
‘ওলেগা সকলভ নিজের ভুল স্বীকার করেছেন’, বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ কথা জানান অধ্যাপকের আইনজীবী আলেক্সান্দার পোশুয়েভ। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে বান্ধবীকে খুন করে তাঁর শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা কেটে আলাদা করেন। এমনকি তিনি জনসমক্ষে আত্মহত্যারও পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানা গেছে।