তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বজায় রাখতে কাজ করবে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (ডানে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বৃহস্পতিবার জাপান পৌঁছেছেন। বিতর্কিত এশিয়া সফরের এটি তাঁর শেষ গন্তব্য। বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

টোকিওর ইয়োকোটা বিমানঘাঁটিতে অবতরণের পর জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও অপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে করমর্দন করেন পেলোসি।

এদিকে, আজ শুক্রবার জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বজায় রাখতে এক সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের অভূতপূর্ব সামরিক মহড়া ও জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর এমন কথা জানাল টোকিও।

আজ সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে তাঁর সরকারী বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন ন্যান্সি পেলোসি। এ সময় কিশিদা বলেন, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এক সঙ্গে কাজ করবে।

কিশিদা আরও বলেন, ‘আমি স্পিকার পেলোসিকে জানিয়েছি যে, চীনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইইজেড-সহ জাপানের জলসীমায় আঘাত করায় আমাদের জাতীয় সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জাপান এ ধরনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে।’

এদিকে, ন্যান্সি পেলোসির এ সফর ছিল গত ২৫ বছরের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কোনও মার্কিন কর্মকর্তা হিসেবে তাইওয়ান আগমণ। তাঁর তাইওয়ান সফরের একদিনের মাথায় স্বশাসিত দ্বীপটি ঘিরে থাকা জলসীমায় বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।

চীনের টানা হুমকি অগ্রাহ্য করে ৮২ বছরের এই মার্কিন রাজনীতিক বুধবার তাইওয়ানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেছেন, তাঁর এই সফর স্পষ্ট করেছে যে, গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে পরিত্যাগ করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৫ সালের পর পেলোসির এটি প্রথম জাপান সফর। বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জাপান পৌঁছান। দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনি উত্তর কোরিয়া সীমান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র জাপান। তাইওয়ানকে ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া নিয়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধে জড়িয়েছে দেশটি। পেলোসির অবতরণের আগমুহূর্তে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, মহড়ায় চীনের ছোড়া পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে এসে পড়েছে।