তিউনিশিয়ার উপকূলে ফের নৌকাডুবি, ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
তিউনিশিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

তিউনিশিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে দুদিনে এটি দ্বিতীয় বিপর্যয়ের ঘটনা।

রোববার সফ্যাক্স বন্দরের কাছ থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল গার্ডের কর্নেল হোসেম জেবলি। খবর রয়টার্সের।

এর আগে শনিবার তিউনিশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল জারজিসে একটি জাহাজ ডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৪৩ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ এবং আরও ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।

রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মুনজি সেলিম জানিয়েছেন, নৌকাটিতে মোট ১২৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল। কর্তৃপক্ষ ৮৪ জনকে উদ্ধারে সমর্থ হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৪৩ জন।

তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪৬ জন সুদানি, ১৬ জন ইরিত্রিয়ান, ১২ জন বাংলাদেশি ও পাঁচজন মিসরীয় রয়েছে। তবে নিখোঁজদের মধ্যে কোন দেশের কতজন রয়েছে সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়নি।

উদ্ধারকৃতদের জারজিস বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিউনিশিয়ার দক্ষিণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো এরই মধ্যে অভিবাসীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে বলে জানান সেলিম।

এর আগে ২৪ জুন তিউনিশিয়ার কোস্ট গার্ড সদস্যরা একটি ডুবন্ত নৌকা থেকে ২৬৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ২৬৪ জনই ছিল বাংলাদেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া ও তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্রপথে যাত্রার প্রবণতা বেড়েছে। বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ইউরোপে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে এই ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের পথ বেছে নিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে পাঁচশ জনেরও বেশি মানুষ।