তুরস্কে ভূমিকম্প : ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে আরও ৭ জন উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরে তাঁবু করে থাকছেন ভূমিকম্পে গৃহহারারা। ছবিটি রয়টার্সের ভিডিও থেকে নেওয়া

তুরস্কের দুই দফার ভয়াবহ ভূমিকম্পের অষ্টম দিন আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। গত সপ্তাহের সোমবারে সাত দশমিক আট ও সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দেশটি। দেশটিতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপে আটকা জীবিতদের। আজও সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। খবর রয়টার্সের।

তুরস্কের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দেশটির ইতিহাসের শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে অভিহিত করা হচ্ছে। আজও বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে উদ্ধারের থেকে আবাসস্থল ও খাদ্যের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিবেশী দেশ দুটির শহরগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। মানুষদের গৃহহীন কেরে ফেলছে। ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়ারা ঠান্ডায় তীব্র কষ্ট করছেন। কখনও কখনও ধ্বংসস্তূপের নিচেই তারা ঘুমচ্ছেন।

তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার নতুন করে উদ্ধার করা সাতজনের মধ্যে দুই ভাই রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রম ১৭ ও ২১। কাহরামানমারাস প্রদেশের একটি ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া এক নারীকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হাতায় থেকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, উদ্ধারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করছে জাতিসংঘ। এখন আবাসস্থল, খাদ্য ও স্কুলের দিকে মনোযোগ দিতে হবে বলে অভিমত তাদের।

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানটেপও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শহরটির একটি মাঠে পরিবারসহ থাকছেন সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা হাসান সাইমুয়া। তিনি বলেন, ‘মানুষেরা খুব কষ্ট করছে। আমরা তাঁবুর জন্য আবেদন করেছি। তবে, এখনও আমরা সেটি পাইনি।’

গাজিয়ানটেপেও সাইমুয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি সিরিয় পরিবারের দেখা মিলেছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা এসব মানুষেরা ভূমিকম্পে তাদের স্বপ্নের ঘর হারিয়েছেন। প্লাস্টিক দিয়ে তাঁবু করে মাঠটিতে রয়েছেন তারা।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের প্রয়োজন এমনটি জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রধান হ্যান্স পি. ক্লুঞ্জ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজন অপরিসীম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বাড়ছে। দুই দেশ মিলিয়ে দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন।’