তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি ৮৩ শতাংশ

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কে মুদ্রাস্ফিতি ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৩ শতাংশের ওপরে গিয়ে পৌঁছেছে। ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৩ শতাংশের ওপরে গিয়ে পৌঁছেছে। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে পরিবহণ, খাদ্যপণ্য ও বাসস্থান খাত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ে কাজ করা স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের সংস্থা ইনফ্লাশন রিসার্চ গ্রুপের মতে বার্ষিক এই হার সত্যিকার অর্থে ১৮৬.২৭ শতাংশ। 

গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আর্থিক খাতে গতি আনতে সুদ হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে সুদের হার বাড়িয়েছিল।

তুরস্কের পরিবহণ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি ১১৭.৬৬ শতাংশ, আর এর পরেই রয়েছে খাদ্যপণ্য ও অ্যালকোহল মুক্ত পানীয়ের দাম যা বেড়েছে ৯৩ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সুদের হারকে সব অপতৎপরতার মা-বাবা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং তার অর্থনৈতিক নীতিতে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে প্রভার বিস্তারের বিষয়টিও রয়েছে।

গত বছর সুদ হার কমানোয় তুর্কি লিরার মান কমে যায় ১৯ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশে। যার অর্থ হলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে দেশটিকে আরও বেশি খরচ করতে হচ্ছে। লিরার দাম রেকর্ড হারে পড়ে গিয়ে ডলারের বিপরীতে ১৮.৫৬ তে গিয়ে পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং জায়ান্ট জেপি মরগান বলছে, তুরস্কের অর্থনীতিতে রক্ষণশীল নীতি না নিলে মূল্যস্ফীতির এই উচ্চহার বজায় থাকবে।

সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত এ ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা এই এক সঙ্গে তুরস্কের জন্য শতাব্দী তৈরি করব, আশা করি মূল্যস্ফীতির বিষয়টিকে মোকাবিলা করেই তা করব।’

তুরস্কের এই মূল্যস্ফীতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে মারাত্মক হিসেবে বর্ণনা করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ হাকান কারা।

এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সঙ্কটকে প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখছে যখন সামনের বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তার আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য সাধারণ নির্বাচন।