তুরস্ক-সিরিয়ায় বাড়ছে মৃতের মিছিল, এখনও চলছে উদ্ধার কাজ

Looks like you've blocked notifications!
সিরিয়ার উপকূলীয় জাবলেহ শহরে একটি ভেঙে পড়া ভবনের নীচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা। ছবি : রয়টার্স

তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবারের প্রলয়ঙ্করী ভূমকম্পের ১০০ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর আশা ক্ষীণ হয়ে আসলেও জীবিতদের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বের করে আনতে এখনও চলছে উদ্ধার তৎপরতা। এদিকে ভূমিকম্পে থামছে না মৃতের মিছিল। বিধ্বংসী এই বিপর্যয়ে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার ভোররাতে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা গতকাল শুক্রবার নাগাদ বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ২১৩ এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৫০০ জনে। খবর আল জাজিরার।

এদিকে, জাতিসংঘ বলেছে সিরিয়ায় ভূমিকম্পের কারণে ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়তে পারে আর তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় নয় লাখ মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে গরম খাবার প্রয়োজন।

অন্যদিকে, সিরিয়া সরকার তাদের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে যে, তারা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে।

তুরস্ক জানিয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাহায্য পৌঁছাতে নতুন দুটি রুট খুলে দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, শুক্রবার দেশটির উপকূলীয় জাবলেহ শহরে ভূমিকম্পের পাঁচ দিনের মাথায় একটি ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একজন নারী ও তার দুই সন্তানকে উদ্ধার করেছে চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী একটি দল।     

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানে দুজাররিক জানিয়েছেন সারাবিশ্ব থেকে ১৩০টি উদ্ধারকারী দল তুরস্কে কাজ করছে এবং আরো ৫৭টি দল এই কাজে যোগ দেবে।

এদিকে, সিরিয়ায় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না- সমালোচকদের এমন কথা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো উদ্ধারকারী দল নেই। সংস্থাটি দুর্যোগ নিয়ে কাজ করা দলগুলোর মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তাদের কাজ সমন্বয় করে থাকে।