তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি : রয়টার্স 

দুটি মহাদুর্যোগপূর্ণ ভূমিকম্পে উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সাড়া দিতে সরকারের সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলায় আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়াটা অসম্ভব।

এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। খবর বিবিসির।

অন্যদিকে, সমালোচকরা জরুরি সাহায্য সংস্থাগুলোর ধীর তৎপরতার বিষয়ে অভিযোগ তুলে বলেছে সরকারের প্রস্তুতি খুবই নাজুক।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্বীকার করে নিয়েছেন যে সরকার কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পেষণ করেছেনে তুরস্কের বিরোধী দলের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু। তিনি বলেন, ‘যদি এর জন্য একজন লোক দায়ী থাকেন তবে তিনি হচ্ছেন এরদোগান।’

অন্যদিকে এরদোগান এই অভিযোগ বাতিল করে দিয়ে বলেছেন বিপর্যয়ের পর ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। তুরস্কের হাতায় প্রদেশে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এই সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে লোকজনের নেতিবাচক প্রচারণা আমি হজম করতে পারছি না।’

এদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাতের কারণে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামোর জন্য ত্রাণ কাজ চালানো জটিল হয়ে পড়েছে।

সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্তবর্তী বাব-আল-হাওয়া ক্রসিংটি ভূমিকম্পের পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানকার রাস্তাঘাটগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু বলেছেন যে, সিরিয়ায় সাহায্য পাঠাতে তারা সীমান্তে আরও দুটি গেট খুলে দেবে।

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশেই ভূমিকম্পে দেড় হাজার লোক মারা গেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের একজন উপদেষ্টা জানান অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক সাহায্য আসা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার জন্য ৩.৫ মিলিয়ন ইউরোর সাহায্য পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বলেছে এই সাহায্য দেশটির সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উভয় এলাকাতে পাঠাতে হবে।