থাইল্যান্ডে নির্বাচনে বেশির ভাগ আসনে বিরোধীদের জয়

Looks like you've blocked notifications!
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পিটা লিমজারোয়েনরাত (বামে) এবং ফেউ থাইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি : রয়টার্স

থাইল্যান্ডে নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে সংস্কারপন্থী বিরোধী দলগুলো। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে প্রায় এক দশকের সেনা সমর্থিত শাসন প্রত্যাখ্যানের রায় দিল জনগণ। খবর আলজাজিরার।

আজ সোমবার (১৫ মে) প্রায় সব ভোট গণনা শেষে প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) এবং পপুলিস্ট ফেউ থাই পার্টি ক্ষমতা দখলের জন্য ৫০০টি আসন থেকে ২৮৬টি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ 

কিন্তু তারা পরবর্তী সরকার গঠন করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কারণ দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে সেনানিযুক্ত ২৫০ সদস্যের সিনেটের ভোট দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তার মানে এমএফপি ও ফেউ থাইয়ের নতুন একটি সরকার গঠনের জন্য ছোট দলগুলোর সমর্থন লাগবে।

নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বিজয় পেয়েছে এমএফপি। তরুণ নেতৃত্বাধীন দলটি থাইল্যান্ডের রাজকীয় ও সামরিক প্রভাবশালীদের ক্ষমতা হ্রাস করার সাহসী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দলটি।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নির্বাচনের ৯৯ শতাংশ প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এমএফপি মোট ১৪৭টি আসন নিয়ে নিম্নকক্ষের বৃহত্তম অংশ দখল নিতে যাচ্ছে মনে করা হচ্ছে। এমএফপির ফলাফলকে ‘অসাধারণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া ফলাফলে দেখা গেছে, অপর বিরোধী দল ফেউ থাই মোট ১৩৮টি আসন পেয়েছে।

বর্তমান ক্ষমতাসীন দল সেনা সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির অবস্থা শোচনীয়। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ২০১৪ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রথম ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তার ৩৬টি আসন নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তার আগের দল পালং প্রচারথ প্রায় ৪০টি আসন নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভুমজাইতাই, দলটি থাইল্যান্ডে গাঁজাকে বৈধ করার প্রচারণায় নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের অংশ হিসেবে দলটি প্রায় ৭০টি আসনে জয়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের উবন রাতাচাথানি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক টিটিপল ফাকদেওয়ানিচ বলেন, ‘নির্বাচনের এই ফলাফল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির জন্য ভীষণ চমকপ্রদ বিজয়। এটি থাইল্যান্ডের জন্য একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট, কারণ এ থেকে বোঝা যায় দেশের বেশিরভাগ মানুষ পরিবর্তন চায়।’