নতুন করে সংঘর্ষে জড়াল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান

Looks like you've blocked notifications!
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনারা বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে কয়েক দশকের পুরনো শত্রুতার জেরে ফের সংঘর্ষে জাড়িয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনারা বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে কয়েক দশকের পুরনো শত্রুতার জেরে ফের সংঘর্ষে জাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার ভোররাতে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষে তাদের সেনারা হতাহত হয়েছে বলে আজারবাইজান স্বীকার করেছে। আর্মেনিয়া কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা না জানিয়ে বলেছে, রাতভর সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।

২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের এক লড়াইয়ে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখের ওপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। এবারের সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে।

বার্তা সংস্থা তাস আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায়ের উদ্ধৃতি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো মর্টারসহ বিভিন্ন ক্যালিবারের অস্ত্র দিয়ে আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকটি অবস্থান, আশ্রয়স্থল ও রিইনফোর্সমেন্ট পয়েন্টে তীব্র গোলাবর্ষণ করেছে। এতে প্রাণহানি ও সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আজারবাইজানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সীমান্তে আর্মেনিয়ার বাহিনী গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে, এই এলাকায় অস্ত্র নিয়ে এসেছে এবং সোমবার রাতে খনন অভিযান চালিয়েছে।

‘সামরিক লক্ষ্যস্থলে হামলার জন্যই তারা এসব করেছে’ বলে অভিযোগ দেশটির।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তীব্র গোলাগুলি অব্যাহত আছে। আজারবাইজানের পক্ষের বড় মাপের উস্কানির ফলে এ গোলাগুলি শুরু হয়। আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীগুলো সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।’

আর্মেনিয়ার সরকার জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি আহ্বান করবে এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা ব্লক কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন প্রতি আবেদন জানাবে, পাশাপাশি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছেও আবেদন জানাবে।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।