‘নতুন সরকার গঠন না হলে লেবানন টাইটানিকের মতো ডুবে যাবে’

Looks like you've blocked notifications!
লেবাননে গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ছবি : রয়টার্স

লেবাননের জাতীয় সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ও মারাত্মক অর্থ সংকটের মধ্যে থাকা দেশ বিপদের মুখে রয়েছে এবং যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করা না হয় তাহলে লেবানন টাইটানিক জাহাজের মতো ডুবে যাবে।’

গতকাল সোমবার নাবিহ বেরি জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শুরুতে এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।

স্পিকার নাবিহ বেরি বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন সরকার গঠন না করলে দেশ বড় বিপদের মুখে পড়বে। সামগ্রিকভাবে দেশ এখন টাইটানিক জাহাজের মতো অবস্থায় আছে। আমাদের এখনই জেগে ওঠার সময়, কারণ শেষ পর্যায়ে যদি জাহাজ ডুবে যায় তাহলে কেউ বাঁচতে পারবেন না।’ 

লেবানের স্পিকার নাবিহ বেরি। ছবি : সংগৃহীত

সংসদীয় অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার লেবাননের সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রস্তাব আহ্বান করেন। স্পিকার বলেন, এই অর্থ দিয়ে লেবাননে আরও দুই মাস আলোকিত করে রাখা যাবে।

গত রোববার গ্যাস ও তেল সঙ্কটের কারণে দেশটির বড় চারটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের একটি বন্ধ হয়ে যায়।

গত বছরের ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব পদত্যাগ করেন এবং তিনি বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। লেবাননের জনগণ নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এরই মধ্যে হাসান দিয়াব হুমকি দিয়ে বলেছেন, নতুন সরকার গঠন করা না হলে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দেবেন। এই হুমকির মধ্য দিয়ে তিনি মূলত রাজনীতিবিদদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন।

দেশটিতে বাজেট না হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় গ্যাসের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। লেবাননের আইন অনুযায়ী, নিয়মিত সরকার ছাড়া বাজেট অনুমোদনের এখতিয়ার নেই। ফলে দেশটির অর্থনীতিতে এর চরম প্রভাব পড়েছে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে লেবাননের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে বিক্ষোভ আন্দোলনও চলমান রয়েছে।