নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন লিকের কাছাকাছি রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ?

Looks like you've blocked notifications!
নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইনের গ্যাস লিকেজ। ছবি-সংগৃহীত।

পানির নিচে বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন লিকের কাছাকাছি সোম ও মঙ্গলবার রুশ নৌবাহিনীর সহায়তাকারী জাহাজ দেখা গেছে বলে ইউরোপীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণে জানা গেছে।

কিন্তু এটা এখনও পরিষ্কার নয় সম্প্রতি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনের লিকেজের সঙ্গে ওই জাহাজগুলোর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।  তবে তদন্ত সংস্থাগুলো অন্যান্য অনেক কারণের মধ্যে এই বিষয়টিকেও গুরত্বের সঙ্গে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার কয়েকটি সাবমেরিন গত সপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাছাকাছি বিচরণ করছিল। খবর সিএনএনের।  

এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে সেখানে কী ঘটেছিল সে ব্যাপারে এখনও বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। গত সোমবার নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে কাছাকাছি সময়ে বিস্ফোরণের ফলে তিনটি লিক তৈরি হয় দুটি সরবরাহ লাইনেই।

ডেনিস সামরিক সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজগুলো নিয়মিত ওই এলাকায় বিচরণ করে। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তার মতে, রুশ যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতির কারণে এটা বলা যাবে না যে রাশিয়া এই ক্ষতির জন্য দায়ী। 

ওই ডেনিস কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তাদের প্রতি সপ্তাহেই দেখি। সাম্প্রতিক সময়ে বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আমরা আকাশ ও জল সীমায় কতটুকু তৎপর তা তারা নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে দেখে।’

তবে এই এলাকায় শুধুমাত্র রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতির কারণে ইউরোপীয় এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের মনে সন্দেহ এখনও রয়ে গেছে দেশটির ওপর কেননা একমাত্র তাদেরই সামর্থ রয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে পাইপলাইনগুলোর ক্ষতি করার। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা ওই জাহাজগুলো সম্পর্কে তাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহকারী ওই পাইপলাইনের বিস্ফোরণ সম্পর্কে ডেনমার্ক ও সুইডেন দুটি দেশই তদন্ত করছে। তবে ঘটনাস্থলে এখনও পরিদর্শনে যায়নি তদন্ত সংস্থাগুলো। আর এ জন্য ঠিক কোন কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে বিষয়টি এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মতে ডেনিস সরকারের তদন্ত চলছে তবে দুই সপ্তাহ সময় নিতে পারে তা শেষ হতে কেননা পাইপলাইনের চাপের কারণে লিক হওয়া অংশে পৌঁছানো অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে রোববার তদন্তকাজ শুরু হতে পারে।

অন্যদিকে, ডেনমার্ক ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন যে এই নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের লিক কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো কাজের ফলাফল। 

সুইডেনের নিরাপত্তা সংস্থা বুধবার জানায়, এই ঘটনার  পেছনে কোনো বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে কিনা সেই সম্ভবনাকে একদম বাতিল করে দিচ্ছে না তারা। এ প্রসঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক টুইট বার্তায় এই ঘটনাকে ‘সত্যিকার অন্তর্ঘাত’ হিসেবে অভিহিত করেন। তবে অন্যান্য পশ্চিমা সিনিয়র কর্মকর্তারা রাশিয়ার ওপর সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত আছেন।