নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত শতাধিক

Looks like you've blocked notifications!
বিস্ফোরণের এলাকাটিতে তেল চুরির পর পরিশোধন করে বিক্রি করা ব্যবসা চলে আসছে বহুদিন ধরে। ছবি : রয়টার্স

নাইজেরিয়ার রিভার্স ও ইমো প্রদেশের সীমান্তে একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানি হয়েছে। স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা ও একটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠীর বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার ইমো প্রদেশের জ্বালানি সম্পদ–বিষয়ক কমিশনার গুডলাক ওপিয়াহ বলেন, ‘অবৈধ একটি তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁদের শরীর আগুনে এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, তাঁদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না।’

দুর্ঘটনাকবলিত অবৈধ তেল শোধনাগারটির অবস্থান নাইজেরিয়ার তেলসমৃদ্ধ নাইজার ডেলটা এলাকায়। ওই অঞ্চলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার বেশি। সেখানে অবৈধভাবে তেল পরিশোধন করে বিক্রি চলে আসছে বহুদিন ধরে। এবং প্রায়ই সেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বড় তেল কোম্পানিগুলোর পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করে, তা অবৈধভাবে তৈরি অস্থায়ী ট্যাংকে নিয়ে পরিশোধন করা হয়। এরপর তা জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করা হয়।

জানা গেছে, বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে অবৈধ তেল কেনার জন্য লাইনে থাকা অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে। ইয়ুথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—দক্ষিণ নাইজেরিয়ার আশপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে কয়েক ডজন অবৈধ তেল ব্যবসা।

এর আগে রিভার্স প্রদেশে গত বছরের অক্টোবরে একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছিল।

তেল চুরির পর তা পরিশোধন করে বিক্রির অবৈধ কার্যক্রম রুখতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযান শুরু করে। কিন্তু, তাতে খুব বেশি ফল মেলেনি।

নাইজেরিয়া আফ্রিকার সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ। দেশটির সরকারি হিসাবে, প্রতিদিন ব্যারেল ব্যারেল তেল চুরি হয়।