নাগরিকত্ব হারাতে পারেন ইউক্রেনে অভিযানবিরোধী রুশরা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

নিজেদের নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। পুরোনো আইনে সংশোধনী করতে যাচ্ছে তারা। এর ফলে রাষ্ট্রদোহীতা ও ইউক্রেনে সামরিক অভিযানবিরোধী রুশ নাগরিকরা তাদের নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। রুশ গণমাধ্যমগুলো আজ বুধবার (১৫ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া, যা এখনও চলমান। এই আগ্রাসনকে বিশেষ সামরিক অভিযান বলে অভিহিত করছে ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসন। এই আগ্রাসনের পর থেকে নিজ দেশের বিরোধীদের কণ্ঠরোধে বিভিন্ন আইন বাস্তবায়ন করেছে দেশটি।

রাশিয়ার নাগরিকত্ব আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো ইতোমধ্যে দেশটির সংসদীয় কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে।

কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস (সিআইএস) বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান কনস্ট্যান্টিন জাটুলিনের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস হলে বিশ্বাসঘাতকতাকারী ও বিশেষ সামরিক অভিযানকে অসম্মান করাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক দেশগুলো মিলে ১৯৯১ সালে সিআইএস গঠন করে। আর ২০২২ সালে নতুন করে ছয় লাখ ৯১ হাজার মানুষকে নাগরিকত্ব দেয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে অর্ধেক নাগরিকত্ব পেয়েছিল সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকেরা।

গতকাল অর্থাৎ, মঙ্গলবার নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীর বিলটি রাশিয়ার নিম্নকক্ষ পার্লামেন্ট স্টেট ডুমায় উঠানো হয়। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়। ওই বিল অনুযায়ী, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযানের বিরোধীরা ও সেখানে যুদ্ধরত স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি তাদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

ক্রেমলিনের দাবি, বেশিরভাগ রাশিয়ানরা ইউক্রেনে তাদের পদক্ষেপকে সমর্থন করছে।

এদিকে, ইউক্রেন আগ্রাসনের বিরোধী হাজার হাজার রুশ নাগরিকরা ভয়ে রয়েছেন। তারা দেশও ছাড়ছেন। যারা এখনও দেশটিতে রয়েছেন তাদের জেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।