‘নিওকোভ’ সংক্রমণে প্রতি তিন জনে একজনের মৃত্যু হতে পারে : চীনের গবেষণা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/01/29/neocov.jpg)
কোভিডের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের প্রকোপ বিদ্যমান। এর মধ্যেই কোভিডের আরেকটি ধরনের সন্ধান মিলেছে বলে জানালেন চীনের একদল বিশেষজ্ঞ। চীনা চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের—এ ভ্যারিয়্যান্ট তুলনামূলকভাবে বেশি প্রাণঘাতী। বলা হচ্ছে, প্রতি তিন জন সংক্রমিতের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’ নামের এ ভ্যারিয়্যান্টে। সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
তবে, ‘নিওকোভ’ একেবারে নতুন কিছু নয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার কিছু কিছু দেশে এ ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (Middle East respiratory syndrome) বা মার্স-কোভ বলা হতো একে। কোভিড-১৯ বা সার্স-কোভ-এর সঙ্গে মার্স-কোভ-এর উপসর্গগত বিশেষ পার্থক্য নেই। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা এ ক্ষেত্রেও হয়। সর্বপ্রথম ‘নিওকোভ’-এর সন্ধান মিলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। মূলত বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় ‘নিওকোভ’।
এদিকে, নিওকোভ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’ একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হচ্ছে—চীনা বিশেষজ্ঞেরা কোভিডের যে নয়া ধরন নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানবশরীর এ ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব ক্ষীণ।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/01/29/neocov_inside.jpg 687w)
চীনা বিশেষজ্ঞদের নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে—প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, নিওকোভ মানুষের ক্ষেত্রে তেমন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না, শুধু অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কিন্তু পরে দেখা গেছে—এটি নিজেকে বদলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানোর মতো গঠন তৈরি করে নিচ্ছে।
নিওকোভ-এর উৎস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নিওকোভ প্রথমে বাদুড়ের শরীরে তৈরি হয়, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে উটের শরীরে। সেখান থেকে মানুষের শরীরে ঢোকে—এমনই একটা সন্দেহ রয়েছে। যদিও জিনোম সিকোয়েন্সিং না করলে এর উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়।