নিজ ভূখণ্ডে চীনকে সামরিক ঘাঁটি গড়তে দেবে না সলোমন দ্বীপপুঞ্জ

Looks like you've blocked notifications!
সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারে। ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের ভূখণ্ডে চীনকে কোনো সামরিক ঘাঁটি গড়তে দেবে না বলে জানিয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। নিরাপত্তা চুক্তির পরিকল্পনা করলেও তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে এ কথা জানায় তারা। সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের কর্মকর্তারা নিরাপত্তা ইস্যুতে একটি খসড়া চুক্তি সই করার এক দিন পরে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, ওই চুক্তিতে চীনকে সামরিক ঘাঁটি তৈরির আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে দেওয়ার নিরাপত্তা প্রসারণের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে এবং তাদের তদারকিতে এ ধরনের উদ্যোগ ঘটতে দেওয়ার মতো বেখেয়ালি তারা হবে না।’

তবে, চীনের সঙ্গে চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, খসড়া চুক্তি ফাঁস হলে চীনের নৌবাহিনীর জাহাজ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে আবারও প্রবেশ করতে পারে। তবে, ওই খসড়া চুক্তিতে এখনও মন্ত্রীরা সই করেননি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া চীনের সঙ্গে চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে আহ্বান জানায়। তাদের আশঙ্কা, ওই চুক্তির ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।

এদিকে, নিউজিল্যান্ডও ওই চুক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডটন শুক্রবার বলছেন, তাঁরা সলোমন দ্বীপপুঞ্জের যুক্তির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে। তবে, একই সঙ্গে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সমুদ্রের ২০টি পয়েন্টে সামরিক উপস্থিতি তৈরি করেছে বেইজিং। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলো নিয়েও চীন একই পথে এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে ক্যানবেরা।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডটন বলেন, ‘তারা পাপুয়া নিউ গিনিতে (পিএনজি) সামরিক বন্দর চায়। শ্রীলঙ্কায় একটি পেয়ে গেছে এবং নিশ্চিতভাবে অন্য কোথায় জায়গা পাওয়া যায়, সেটিও তারা খুঁজছে।’

এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তির লক্ষ্য কোনো তৃতীয় পক্ষ নয় এবং অন্য দেশের সঙ্গে সংঘাতও এর উদ্দেশ্য নয়। বেইজিংয়ের দাবি, এ চুক্তির আওতায় রয়েছে সামাজিক শৃঙ্খলা, জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা।