রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ

নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ের ৪৭ গণতন্ত্রপন্থির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

Looks like you've blocked notifications!
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি নেতা বেনি টাই সোমবার হাজিরা দিতে আসেন। তবে তিনি ‘জামিন পাওয়ার আশা খুবই কম’ বলে মন্তব্য করেন। ছবি : রয়টার্স

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে হংকংয়ের পুলিশ। একে চীনশাসিত বিশেষ অঞ্চল হংকংয়ের বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনের সবচেয়ে বড় ব্যবহার হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়।

গত মাসের এক ভোরের অভিযানে আটক ৫৫ জন গণতন্ত্রপন্থির মধ্য থেকে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাঁদের থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। এদিন তাঁদের আদালতে নেওয়া হবে। এঁদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ আর আটজন নারী, যাঁদের বয়স ২২ থেকে ৬৩ বছর।

হংকং পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে।’

গত বছরের জুনে এই গণতন্ত্রপন্থিরা ২০২০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের প্রার্থী বাছাইয়ে ‘প্রাইমারি ভোট’ আয়োজন করে। পরে যদিও নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

চীন ও হংকং কর্তৃপক্ষ এই প্রাইমারি ভোটকে সরকার পতনের উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

হংকংয়ে স্থিতিশীলতা আনার কথা বলে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অভিযোগের বিচার করতে হংকংয়ে নিরাপত্তা আইন জারি করে চীন সরকার। সমালোচকেরা বলে আসছেন, এই আইন ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করেছে এবং হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছে। মূলত হংকংয়ে ২০১৯ সালে গণতন্ত্রপন্থিদের টানা আন্দোলনের পরই এই আইন চালু করে চীন।

বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে বিচ্ছিন্নতাবাদ, রাষ্ট্রীয় নিয়ম ভঙ্গ, সন্ত্রাসবাদ ও ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগে অভিযুক্তদের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচার করে চীনের আদালত। এই আইনে কারও আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তিও হতে পারে। শুরু থেকেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইনটির সমালোচনা করে আসছে।