নির্বাচন-পরবর্তী বিক্ষোভের মুখে কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

Looks like you've blocked notifications!
বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত

কিরগিজস্তানে নির্বাচন-পরবর্তী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কুবাতবেক বরোনভ। এ ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ বুধবার এ খবর জানিয়েছে।

কুবাতবেক বরোনভের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সাদির জাপারভকে। এর আগের দিন বিক্ষোভকারীরা সাদির জাপারভকে জেল থেকে মুক্ত করেন। এর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারী বিরোধী দলের সমর্থকেরা পার্লামেন্ট ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

তুমুল চাপের মুখে পড়ে কিরগিজস্তানের নির্বাচন নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল বাতিল করেছে।

নির্বাচনের ফলে দেখা যায়, কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরনবাই জিনবেকভের মিত্ররা সিংহভাগ ভোট পেয়েছেন। এ নির্বাচনে ব্যাপক হারে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, এখনো ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট জিনবেকভ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এর আগে জিনবেকভ বিবিসিকে বলেছিলেন, তিনি ‘শক্তিশালী কোনো নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে প্রস্তুত আছেন’। তবে কোনো নির্দিষ্ট নেতার নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি।

কিরগিজস্তানের বিক্ষোভকারীরা কয়েক দিন আগে একাধিক সরকারি ভবন দখল করে শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জাপারভ। তাঁকে সাত বছর আগের এক বিক্ষোভের সময় একজন আঞ্চলিক গভর্নরকে অপহরণের অভিযোগে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া দুর্নীতির দায়ে ১১ বছরের দণ্ড পাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভকেও বের করে আনা হয়।

এর আগে গোপন আস্তানা থেকে বিবিসিকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জিনবেকভ বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষ্য নির্বাচন বাতিল করা নয়; বরং আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানো।’

প্রেসিডেন্ট জিনবেকভ সব দলকে ‘বৈধ পথে’ ফিরে এসে পুরোনো রাজনৈতিক সংকট একসঙ্গে মোকাবিলার আহ্বান জানান। জিনবেকভ ২০১৭ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পর্যবেক্ষরা বলছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জিনবেকভ এখন আর প্রভাবশালী নন। তবে জিনবেকভের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।