পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনে সহায়তা করতে জাতিসংঘের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি। ছবি : আলজাজিরা

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি তেহরানে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর ইরান সংস্থাটিকে সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ক্যামেরা এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামের সংযোগ পুণরায় চালু করতে এবং পরিদর্শনের গতি বাড়াতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) তেহরানে রাফায়েল গ্রসি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর আলজাজিরার।

রাফায়েল গ্রসির এই সফরটি একটি ভূগর্ভস্থ ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি স্তরে পৌঁছে যাওয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৩৫টি দেশের বোর্ড অব গভর্নরদের ত্রৈমাসিক বৈঠকের মাত্র দুদিন আগে হলো।

এ বিষয়ে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ফিরে গ্রসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জামের মাধ্যমে কিছু পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছিল বা সেগুলো কাজ করছিল না। আমরা ওই যন্ত্রপাতিগুলো আবার চালু করতে রাজী হয়েছি।’

তবে কোন সরঞ্জামগুলো পুনরায় চালু হবে বা কত শীঘ্রি তা কাজ শুরু করবে সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাননি। ধারণা করা হয়, ২০২২ সালের জুনে আইএইএ’র সঙ্গে আগের অচলাবস্থার সময় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো থেকে নজরদারি ক্যামেরা অপসারণ করা হয়েছিল।

গ্রসি তেহরানের আশ্বাসের বিষয়ে বলেন, ‘এগুলি কেবলমাত্র কয়েকটি শব্দ নয়। এটা বাস্তব।’  

আইএইএ এবং ইরান গ্রসির সফরের পর একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, তেহরান সুরক্ষা সমস্যার সমাধানের জন্য আরও তথ্য প্রদান এবং পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়ার জন্য তার প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করেছে। এছাড়া ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তির অধীনে অতিরিক্ত নিরীক্ষণ সরঞ্জামগুলি পুনরায় চালু করার অনুমতিও দেবে ইরান।

আইএইএ প্রধান শুক্রবার (৩মার্চ) ইরান এবং বিশ্ব শক্তির মধ্যে ২০১৫ সালের চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনার জন্য ইরানে পৌঁছেন।  

গত সপ্তাহে আইএইএ’র একটি প্রতিবেদ প্রকাশ হয়, যেখানে বলা হয়েছে ইরান ৮৩.৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পেরেছে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ৯০ শতাংশেরও কম সমৃদ্ধ করার প্রয়োজন হয়। আর এসব বিষয়ে কাজ চলছে রাজধানী তেহরান থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ফোরদোও প্লান্টে।   

গ্রসির সফর এবং ফোরদোও পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রবেশের অনুমতির জন্য ইরানের প্রতিশ্রুতি বছরের পর বছর ধরে চলা অচলাবস্থার ক্ষেত্রে একটি সমাধানের পৌঁছার আশা জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।