পরিবর্তনের আশায় সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিল ইরাকি জনগণ

Looks like you've blocked notifications!
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে জনগণ। ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছে জনগণ। আজ রোববারের এ ভোটকে দেশটিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

অনেক ইরাকিই বলছেন, ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আগ্রাসনের হাত ধরে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এসেছে তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তারা।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সুবিধা দিতে করা নতুন একটি আইনের আওতায় নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাস আগেই এবারের সাধারণ নির্বাচনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দুই বছর আগে সরকারবিরোধী বড় গণআন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় এ আইনটি করা হয়। ২০১৯ সালের ওই আন্দোলন দেশটির যে অভিজাত শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হয়েছিল, এবারের নির্বাচনেও তারাই সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবারের ভোটের ফল ইরাক বা মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন আনবে না বলে মনে করছেন ইরাকি কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরাও; তবে তারপরও আশাবাদী অনেক ইরাকি।

২০০৩ সালের পর দেশটিতে হতে যাওয়া পঞ্চম সংসদীয় ভোট নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহও দেখা গেছে।

‘আমি অনেক সকালে এসেছি যেন সবার আগে ভোট দিতে পারি, আশা করছি এই ভোট পরিবর্তন নিয়ে আসছে। পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হবে বলে প্রত্যাশা আমাদের,’ উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরকুকের এক ভোটকেন্দ্রের বাইরে এমনটাই বলেছেন কেন্দ্র খোলার ঘণ্টাখানেক আগে চলে আসা আবু আব্দুল্লাহ।

এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনের জন্য অন্তত ১৬৭টি দল ও তিন হাজার ২০০-র বেশি প্রার্থী লড়ছে বলে জানিয়েছে ইরাকের নির্বাচন কমিশন।

দেশটিতে গত কয়েক দশক ধরেই নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা ঠিক করতে বিভিন্ন দলের মধ্যে মাসের পর মাস আলোচনা, দরকষাকষি হয়ে আসছে।

পশ্চিমাপন্থি হিসেবে পরিচিত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি রোববার ভোট দেওয়ার সময় বলেছেন, ‘ইরাকি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এখনও সময় আছে। বেরিয়ে আসুন, ইরাকের জন্য ভোট দিন, আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভোট দিন।’