নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

পাইলট স্বামীর মৃত্যুর ১৬ বছর পর থামল স্ত্রীর স্বপ্নযাত্রা

Looks like you've blocked notifications!
নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াদা। ছবি : বিবিসি

অঞ্জু খাতিওয়াদা। নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের সদ্য নিহত হওয়া একজন পাইলট। নেপালের পোখারায় ৬৮ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজটির কোনো যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় পাননি উদ্ধারকারীরা। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নিহত দুই পাইলটের মধ্যে একজন অঞ্জু। ১৬ বছর আগে তার স্বামী কো-পাইলট দীপক পোখারেলও একইভাবে প্রাণ হারান। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

অঞ্জু উড়োজাহাজটির কো-পাইলট ছিলেন। ওই দিনের উড়ান সম্পূর্ণ করলেই তিনি পাইলট পদে পদোন্নতি পেতেন।

২০০৬ সালে তার স্বামী দীপক পোখারেলও ইয়েতি এয়ারলাইনসের কো-পাইলট ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার অধরা স্বপ্নকেই নিজের লক্ষ্যে পরিণত করেন অঞ্জু। জীবনের দিশা বদলে ফেলেন। আমেরিকায় গিয়ে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। ফিরে এসে যোগ দেন ইয়েতি বিমান সংস্থায়। তবে গত রোববার বিমার দুর্ঘটনা থামিয়ে দিল অঞ্জুর সেই স্বপ্নযাত্রা।

ইয়েতি এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমান এটিআর-৭২ পোখরা বিমানবন্দরে নামার আগে সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। যাকে বলা হচ্ছে নেপালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ জন ভারতীয়সহ ৫৩ জন নেপালি, একজন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দু’জন কোরীয়, একজন আর্জেন্টিনীয় এবং একজন ফরাসি যাত্রী। সবক’টি দেহ উদ্ধার করা না গেলেও বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কীভাবে ঘটল এ দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে নেপাল সরকার। ৪৫ দিনের মধ্যে তারা এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।