অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান

পাকিস্তানকে গুমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে দমন-পীড়ন অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তান সরকারকে সে দেশে গুম ও নিখোঁজের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলেছে, জোরপূর্বক গুম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনে এটি অপরাধ।

এএনআইয়ের বরাতে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।

‘ব্রেভিং দ্য স্টর্ম : এনফোর্সড ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড দ্য রাইট টু প্রোটেস্ট’ শিরোনামের প্রতিবেদনে, মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে—অবিলম্বে সব বন্দিকে গ্রেপ্তার বা আটকের কারণ সম্পর্কে জানানো উচিত পাকিস্তান সরকারের। এবং সরকারের উচিত—আটক বা গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তাঁদের অধিকারের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে—তাঁদের আটকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার অধিকারও।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে রাষ্ট্রের হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন, এমনকি সহিংসতা প্রয়োগের তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে—প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার সব পথে হাঁটা শেষে অনেক পরিবার তাদের স্বজনের মুক্তির জন্য কিংবা অন্তত তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পেতে কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী—পাকিস্তানের গোয়েন্দা পরিষেবাগুলো নিয়মিত মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নিশানা করে জোরপূর্বক গুম করেছে, যাঁদের মধ্যে শত শত নিখোঁজের ভাগ্য এখনও অজানা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে বর্ণিত ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে—পাকিস্তানের পুলিশ ও গোয়েন্দারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে অপ্রয়োজনীয় শক্তি ব্যবহার করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানের লঙ্ঘন।