পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ছবি : সংগৃহীত

‘সংবিধান লঙ্ঘনের’ অভিযোগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির নতুন সরকার। জোটের শরিকদের সম্মতি নিয়ে ঈদের পর জাতীয় পরিষদের স্পিকারের কাছে ‘অকাট্য ঘটনা’ উত্থাপন করা হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের একজন আইনপ্রণেতা এসব কথা জানিয়েছেন। তবে অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট নিশ্চিত করা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) জাতীয় পরিষদের সদস্য মোহসিন শাহনেওয়াজ রানঝা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করে বলেন, অন্তত দুটি ঘটনায় সংবিধান লঙ্ঘনের নোটিশ টেবিলে উত্থাপনের মাধ্যমে অভিশংসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে সরকার।

রানঝা বলেন, দুবার ‘অসাংবিধানিক’ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আলভিকে জবাবদিহি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সিদ্ধান্ত দুটি হলো—১০ম ন্যাশনাল ফাইন্যান্স কমিশন (এনএফসি) গঠনে নোটিশ জারি এবং সংসদীয় কমিটিকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে (ইসিপি) দুজন সদস্য নিয়োগ।

এই পিএমএল-এন আইনপ্রণেতা বলেন, দেশের কয়েকটি হাইকোর্ট প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। দুটি রুলিংয়ের বিষয়ে পরবর্তী সময় কোনো আপিল না করায় এ রায়ই চূড়ান্ত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

রানঝা বলেন, ‘অতীতে সংবিধান লঙ্ঘন করেও লোকজন পার পেয়ে যেত। তবে এবার আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এমনটা আর ঘটবে না।’

সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বরত বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসার বিরুদ্ধে প্রেসিডেনশিয়াল রেফারেন্স ব্যবহার ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি অবৈধ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিলেন। অভিশংসন নোটিশে এ বিষয়টিও যুক্ত করা হতে পারে বলেও রাজনীতিবিদ ও আইনজ্ঞরা বলছেন।

তবে দৃশ্যত অভিশংসন প্রস্তাবের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট নেই। জাতীয় পরিষদে ক্ষমতাসীন জোটের ১৭৪টি ভোট আছে। আর সিনেটে প্রায় ৭০টি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভিন্নমতাবলম্বী ৩৩ জন মিলিয়ে ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৭টি। কিন্তু ৪২২ আসনের পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার জন্য প্রয়োজনীয় ২৯৫টি ভোটের চেয়ে তা এখনো ১৮টি কম।