পাকিস্তানে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে নির্বাচন অফিসের সামনে বিরোধীদের বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
মঙ্গলবার স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও সহিংসতার প্রতিবাদে লারকানা ও মিরপুরখাসের নির্বাচনী অফিসের বাইরে বিরোধীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : সংগৃহীত

জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল, গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, লারকানা আওয়ামী ইত্তেহাদ এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের কর্মীরা মঙ্গলবার স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও সহিংসতার প্রতিবাদে লারকানা ও মিরপুরখাসের নির্বাচনী অফিসের বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন গতকাল মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রথম ধাপে কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে লারকানায় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া জিডিএর সাধারণ সম্পাদক ড. সফদর আব্বাসি বলেন, লারকানা ও মিরখানের নির্বাচনে যারা কারচুপি করেছে, নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি বিলাওয়াল ভুট্টো ও জারদারিকে জনগণের ম্যান্ডেট চুরি থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায়, তারা আবারও ভোটের পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাস্তায় নামবেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ম্যান্ডেট ফিরিয়ে নিতে আমরা আদালত ও ইসিপিতে যাওয়ার সম্পূর্ণ সংকল্প করেছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেইউআই-এফ সিন্ধ এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রশিদ মেহমুদ সুমরো, জিডিএ এমপিএ মোয়াজ্জিম আব্বাসি প্রমুখ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কার্যালয়ের প্রধান ফটকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সেখানে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

এসময় মাওলানা রশিদ মেহমুদ সুমরো বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক, এসএসপি ও রাজস্ব কর্মকর্তারা তাদের ভোট ও ম্যান্ডেট চুরি করতে তাদের বিরোধীদের সহায়তা করেছেন। সহিংসতায় দলের দেড় শতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন এবং তারা এখনও হাসপাতালে রয়েছেন।

ভোট কারচুপির সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৪টি জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০ ভোটে বুড়ো আঙুলের ছাপ নেই। তাই আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় দলের দেড় শতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন এবং তারা এখনও হাসপাতালে রয়েছেন।