প্রিন্স হ্যারিকে নিরীহ আফগানদের হত্যায় অভিযুক্ত করল তালেবান

Looks like you've blocked notifications!
আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করার সময় ২৫ ব্যক্তিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি। ছবি : রয়টার্স

আফগানিস্তানে সামরিক দায়িত্ব পালন করার সময় ২৫ ব্যক্তিকে হত্যায় প্রিন্স হ্যারির স্বীকারোক্তি প্রদানের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান প্রশাসন। এ বিষয়ে একজন জ্যেষ্ঠ আফগান কর্মকর্তা ব্রিটিশ রাজ পরিবারের এই সদস্যকে নিরীহ বেসামরিক আফগান নাগরিকদের হত্যার জন্য দায়ী করেছেন।

শুক্রবার তালেবান নেতা আনাস হাক্কানি গণমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে, প্রিন্স হ্যারি যে দিনটিকে ২৫ জন মুজাহিদকে হত্যার জন্য উল্লেখ করেছেন, সেদিন হেলমান্দে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর এ থেকে পরিষ্কার যে, বেসামরিক ও সাধারণ নাগরিকদেরই লক্ষবস্তু করা হয়েছিল।’

হাক্কানি বলেন, ‘আফগানিস্তানে ২০ বছর পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতির সময় যুদ্ধাপরাধের যে অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে এটি তার মধ্যে একটি। তবে এটা তারা যে অপরাধগুলো করেছে তার পুরো চিত্র নয়।’ তালেবান এই নেতা ব্রিটিশ রাজকুমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন।

এর আগে প্রিন্স হ্যারি তার ভাষায় শত্রু যোদ্ধাদের নির্মূল করাকে দাবার বোর্ড থেকে গুটি সরিয়ে দেয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এর জবাবে হাক্কানি টুইট বার্তায় বলেন, ‘মি. হ্যারি, আপনি এক এক করে যাদের মেরেছেন তার কেউই দাবার গুটি ছিলেন না, তারা ছিলেন মানুষ।’

হাক্কানি আরও বলেন, ‘আপনি যা বলেছেন তাই সত্য, আমাদের নিরীয় মানুষেরা আপনাদের সৈন্য, সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে দাবার গুটির মতোই ছিল। এই খেলায় পরাজিত হয়েছেন আপনারাই।’

২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সৈন্য প্রত্যাহারের কারণে ২০ বছরের সামরিক দখলদারিত্বের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। এই দীর্ঘ যুদ্ধে ১০ হাজারেরও বেশি সাধারণ আফগান নাগরিক নিহত এবং আহত হয়। যুদ্ধের এই প্রভাব থেকে এখনও দেশটি বের হয়ে আসতে পারেনি।

দুই দশকের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি তালেবানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠে।