‘বন্যা নয়, যেন ভয়াবহ বোমার আঘাত’

Looks like you've blocked notifications!
কাদা আর আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা নিজের মা-বাবার ছবি হাতে ভিক্টোরিয়া রোচা। ৮১ বছর বয়সি এ নারীর বাড়িও ধ্বংস হয়েছে বন্যায়। ছবি : রয়টার্স

অতিবৃষ্টির কারণে ব্রাজিলের বাহিয়া প্রদেশ বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত বন্যার কারণে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন। ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি যে, দেখে মনে হচ্ছে যেন বড় ধরনের বোমার আঘাতে তছনছ হয়েছে পুরো এলাকা—এমনটাই বলছেন ওই প্রদেশের গভর্নর।  ব্রাজিলের সংবাদ সংস্থা এজেন্সিয়া ব্রাজিল ও ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।  

প্রচণ্ড খরার কারণে দীর্ঘদিন বৃষ্টির অপেক্ষা করেছে বাহিয়ার মানুষ। ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই প্রদেশে সেই বৃষ্টি শুরু হলো বড়দিনের আগে এবং চলল টানা এক সপ্তাহ। তাতে ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। মারা গেছেন অন্তত ২০ জন। আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা এখনও কাটেনি।

বাহিয়া প্রদেশে দেড় কোটি মানুষের বাস। তাদের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ এখন ঘরছাড়া। কমপক্ষে পাঁচ হাজার ঘর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়িগুলো নতুন করে তৈরি করতে কমপক্ষে ৪০০ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ান রিয়ালের প্রয়োজন।

প্রবল বৃষ্টির কারণে জমা পানির চাপে দুটি বাঁধ ভেঙে যায়। এ কারণেই বাহিয়ার এ অবস্থা। বন্যাদুর্গত ইতামবে অঞ্চলের রাস্তায় এখন ভাঙা ফার্নিচারসহ নানা ধরনের আবর্জনার ছড়াছড়ি।

বন্যাদুর্গত বাহিয়ার জন্য ২০০ মিলিয়ন রিয়াল, অর্থাৎ তিন কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলার বরাদ্দ করেছে ব্রাজিল সরকার। তবে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হতে পারে।

বাহিয়ার বিপর্যস্ত কিছু অঞ্চল খুব কাছ থেকে দেখে প্রদেশের গভর্নর রুই কস্তা বলেছেন, ‘ক্ষয়-ক্ষতি এত বেশি যে, দেখে মনে হয় বাহিয়ায় যেন ভয়াবহ বোমা আঘাত হেনেছে।’

বন্যাউপদ্রুত এলাকায় ঘুরে ঘুরে আবর্জনার স্তূপে নিজের দরকারি জিনিস খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার ঘর থেকে কোনো আসবাব নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপদ জায়গায়।

বাহিয়া রাজ্যের অনেক শহরেই পানি ক্রমশ বাড়ছে। তাই কেউ কেউ নৌকা নিয়ে নেমে পড়ছেন রাস্তায়।

টানা বর্ষণের কারণে দেখা দেওয়া বন্যায় অনেক জায়গায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে।