বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে ঝাড়খণ্ড সরকার

Looks like you've blocked notifications!

জনস্বার্থ মামলার (পিআইএল) উদ্দেশ্য হলো—‘সংখ্যালঘু’ ও ‘সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীকে’ সাহায্য করা। ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে অবৈধ অভিবাসীদের ‘চিহ্নিত, আটক ও নির্বাসনে’ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করার সময় সুপ্রিম কোর্টকে এ কথা বলেছে ঝাড়খণ্ড সরকার।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের আইনজীবী ও বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি, রোহিঙ্গাসহ অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত ও আটক করে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশ চেয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাটির জবাবে এসব কথা বলেছেন। খবর দ্য হিন্দুর।

ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিশেষ শাখার মহাপরিদর্শক প্রশান্ত কুমারের মাধ্যমে দাখিল করা ১৫ পৃষ্ঠার ওই হলফনামায় বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের জন্য রাজ্য সরকারগুলো আটক কেন্দ্র, হোল্ডিং সেন্টার ও ক্যাম্প স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হলফনামায় বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকার হাজারিবাগ জেলায় একটি মডেল আটক কেন্দ্রও স্থাপন করেছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘নাগরিকত্বের ইস্যুতে নাগরিকত্ব আইন ও বিদেশি আইনের বিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর, এ আইন প্রয়োগের পরেই নির্বাসন, স্থানান্তর ও প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলাটির খারিজ চেয়ে হলফনামায় বলা হয়েছে, ভুল ধারণা, কল্পনাপ্রসূত ও কোনো কারণের ওপর ভিত্তি না করেই আবেদনকারীরা ‘আতঙ্কজনক পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।   

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের একটি চিঠির উল্লেখ করে হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘বিদেশি আইন ১৯৪৬ সালের ধারা ৩(২)-এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আদেশ দেওয়ার পর কোনো বিদেশি ভারতে বা এর কোনো নির্ধারিত এলাকায় থাকতে পারবে না।’

এর আগে, কর্ণাটক সরকার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত, আটক ও নির্বাসনে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়ে একটি আইন পাস করার পর আদেশগুলো তারা নিষ্ঠার সঙ্গে অনুসরণ করবে।

এ ছাড়া পিআইএলে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর কাছে অবৈধ অভিবাসন এবং অনুপ্রবেশকে একটি আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য নিজ নিজ আইন সংশোধন করার নির্দেশনা চেয়েছে।

পিআইএলে বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসী, বিশেষ করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে আসা সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর এ বিপুলসংখ্যক মানুষ জনসংখ্যাগত কাঠামোকে যতটা না হুমকির মুখে ফেলেছে, তারচেয়ে বেশি জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।